সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ ছোটবেলায় মনে আছে ঘরের উঠানে সাপুড়ে আসতো খেলা দেখাতে। রংচঙে পোশাক পরা, হাতে লাল বিন, মাথায় ইয়া বড় পাগড়ী, তার কাঁধে ঝোলার মধ্যে বেতের ঝুড়িতে বড় বড় বিষাক্ত বিষাক্ত সাপ। আমরা তো ভয়ে ভয়ে মায়ের পিছনে দাঁড়িয়ে সেই খেলার মজা নিতাম।
তবে ভয়ের কিছু ছিল না কারণ এ সাপের দাঁত নেই, নোখ্ নেই এমনকি ছোটে না সে হাটে না, কাউকে সে কাটে না। শুধু বাপুরাম সাপুরের বিন ও ডুগডুগির ইশারায় সাপ গুলি নরণ-চরণ করত, নাচত খেলা দেখা তো। সাপুড়ের পেশা একটা অবাক করা পেশা ।এরা গ্রামে গ্রামে ঘুরতো এবং মাটির গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারত কোথায় কোন সাপ আছে। বড় বড় বিষাক্ত সাপ অনায়াসে ধরে ঝুলিতে পুরে নিত।
কিন্তু এই পেশা এখন বিলুপ্ত প্রায়। সাপুড়েদের আর দেখা যায় না এই কলিযুগে। এখন বাবুরাম সাপুড়ে কোথা যাস বাপুরে কবিতা ছোটদের বইয়ের পাতায় ও নেই। আর সেই রঙ-চঙে আলখাল্লা পরা সাপুড়ের দেখা ও মেলে না। পরবর্তী প্রজন্মকে যদি সাপুড়ে নামক জীবিকার কথা বলা হয় তারা গালে হাত দিয়ে চিন্তায় পড়ে যাবে, কল্পনা করতে থাকবে আকাশকুসুম। ভাগ্যিস সুকুমার রায় বাবুরাম সাপুড়ে কবিতা টি লিখেছিল তা না হলে পরবর্তী ভবিষ্যৎ কে বোঝাতে পারতাম না সাপুড়েরা আসলে কে বা কারা। এখন সেই কবিতার বইয়ের মধ্যেই সাপুড়েরা বন্দি।
পি/ব
No comments:
Post a Comment