প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক : লতাজি বয়সে সিনিয়র। তিনি জুনিয়র, তাই এত তুলনা-সমালোচনার প্রশ্নই আসে না বললেন রানু। রানুর দাবি, ‘আমি লতাজির গান শুনে বড় হয়েছি। ওনাকে পছন্দ করি। উনি আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। আমি সবসময়েই লতাজির জুনিয়রই থাকব।” রানু মণ্ডল মুখ খুললেই বিতর্ক তৈরি হয়। লতাজিকে নিয়ে ফের মন্তব্য করে চর্চার কেন্দ্রে রানু। অনেকেরই দাবি, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কোনও তুলনা টানাই ঠিক নয়। সে বয়স হোক বা সুর। লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যার কা নাগমা হ্যায়’ গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। তার পরেই কার্যত লতা মঙ্গশকরকে নিয়ে রানুর তুলনা টানা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই তুলনার প্রসঙ্গে এক সংবাদ সংস্থার সামনে নিজের বক্তব্যও রেখেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী।
বলেছিলেন, “যদি আমার নাম এবং কাজের সৌজন্যে কারও ভাল হয়, তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। কিন্তু, আমি মনে করি কাউকে নকল করা কখনও স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে না।” সেই সঙ্গেই লতাজির বক্তব্য ছিল, “আমার, কিশোরদার অথবা মুকেশ ভাইয়ের গান গেয়ে উঠতি গায়কেরা সাময়িক খ্যাতি পেতে পারে। কিন্তু তার স্থায়িত্ব বড় কম।”লতাজির এই বক্তব্যের পরে ফের চর্চায় উঠে আসে রানু মণ্ডলের প্রসঙ্গ। লতাজির মতো একজন লেজেন্ডের সঙ্গে রানুর তুলনা টানা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে নানা মহলে। এই প্রসঙ্গেই হিমেশ রেশমিয়া বলেন, ‘‘আমি মনে করি রানু মণ্ডল বিশেষ ট্যালেন্ট নিয়েই জন্মেছেন।
তাঁর অনুপ্রেরণা লতাজি। আমি একেবারেই মনে করি না, লতাজির মতো লেজেন্ড আর তৈরি হবেন। রানুজি তাঁর জার্নি সবে শুরু করেছেন। মানুষজন লতাজির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা বার করছেন।’’ হিমেশের আরও দাবি ছিল, ‘‘আমি মনে করি লতাজি তাঁর বিশেষ ভাবনা থেকেই এই কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কাউকে নকল করে সাময়িক খ্যাতি পাওয়া যায় ঠিকই, তবে অন্যের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজের পথে এগিয়ে যাওয়াই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’’
কে
No comments:
Post a Comment