দেবশ্রী মজুমদারঃ নানুর, ১৫ সেপ্টেম্বরঃ “কথা আছে, যখন রোম পুড়ছিল তখন নিরো বেহালা বাজাচ্ছিল। বীরভূম পুড়ছে, বাংলা পুড়ছে , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি আঁকছেন, গান লিখছেন। কি গান লিখছেন, উনিই জানেন। এর কিছু বুঝি না”। -
রবিবার দুপুরে নানুরের রামকৃষ্ণপুরে নিহত স্বরূপ গড়াইয়ের পরিবারের সাথে দেখা করতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য নেতা মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্যনেতা বিশ্বপ্রিয় চৌধূরী, অনুপম হাজরা ও জেলা নেতৃত্বরা। মুকুল রায় এদিন বলেন, শহীদ পরিবারকে দেখতে দেখতে আমাদের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শশ্মান আর কবর স্থান ঘুরতে ঘুরতে চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। যে মারা গেল, সেই স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক করল।
আমরা স্বাভাবিকভাবেই জানি যেখানে হিংসা মৃত্যু হয়, সেখানে পোস্ট মর্টেম হয় তারপর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখানে স্বরূপ গড়াই খুন হয়েছে। গত একবছরে বীরভূমে ৮ জন নিহত হয়েছে। এটা নিয়ে নবম। এই বীরভূম জেলায় জেলা পরিষদে একটাও মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয় নি। এই জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় নি। এই জেলায় আইনের শাসন বলবৎ নেয়। এদিন বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় চৌধূরী মৃতর স্ত্রীর হাতে একটি চেক তুলে দিয়ে বলেন, পড়াশোনা বন্ধ হবে না।
এখন তোমাকেই ছেলে মেয়ে দুটোর দায়িত্ব পালন করতে হবে। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, এখানকার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমি এখানকার পুলিশ ও পুলিশের কর্তাকে বলব, আমরা সময় দিচ্ছি মাত্র সাতদিন। মুখ্য অভিযুক্তকে যদি না ধরা হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। পুলিশ যেন দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সাথে জনগণ আছে। জনগণকে নিয়ে যা করার আমরা করব। যারা মনে করবে এই তাঁবেদারি করবে, আর কটা মাস। তারপর সরকার বদলাবে। আর তৃণমূল থাকবে না। বিজেপি আসবে।
আর এদের এমন অবস্থা করবে না! এরা তো গাঁজার কেস দিচ্ছে। দেশদ্রোহীর কেশ দেবো। সারা জীবন জেলে যাবে। আর ফিরবে ডেড বডি তার ব্যবস্থা করে দেব। জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, মৃত স্বরূপ গড়াইয়ের ভাইপো অর্থাৎ অনুপ গড়াইয়ের ছেলেকে কিডন্যাপ করার হুমকি দিচ্ছে। তার স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়েছে। তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দরবার করব কালকেই।
পি/ব
No comments:
Post a Comment