প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া থানার ডিমডিমা চা বাগান এলাকায় বয়স ৯০ পেরিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। শেষে শনিবার মৃত্যু বরণ করেন কুমোদেবী। শেষ মুহূর্তেও মুখাগ্নি করার জন্য নিজের সন্তানকে পেলেননা তিনি। কুমোদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন তাঁর মুসলমান ছেলে সাজু তালুকদার।
সাজু তালুকদার রবিবার ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ হিন্দু মায়ের শেষকৃত্যটা আদিবাসী রীতি মেনেই সম্পন্ন করেন। তারপর প্রয়াত কুমোদেবীর দেহকে কবরস্থ করা হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক সাজু তালুকদারের পরিচালিত হেভেন শেল্টার হোমের আবাসিক ছিলেন ৯০ পেরনো কুমোদেবী। মাস আটেক আগে ইসলামপুরের রাস্তায় পড়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা ।
তারপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে তাঁর ঠাঁই হয় হেভেন শেল্টার হোমে। কিন্তু ঘরের ঠিকানাই ভুলে গিয়েছিলেন কুমোদেবী। মাঝে মাঝে ”ননী ননী” বলে ডেকে কেঁদে উঠতেন তিনি। ননী নাকি তাঁর ছেলের নাম। ঠিকানা জানতে না পারায় তাঁকে ঘরে ফেরাতে পারেননি সাজুবাবুও। শনিবার তিনি মারা যান। রবিবার তাঁর মুখাগ্নি করেন সাজু তালুকদার।
ডিমডিমা চা বাগানের অদূরে ডিমডিমা নদীর তীরে অবস্থিত সাজু তালুকদারের আশ্রয়গৃহটি। এতদিন ১৬ জন আবাসিক ছিলেন সেখানে। কাউকে রাস্তা থেকে তুলে এনে ঠাই দিয়েছেন সাজুবাবু। কেউ আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে ঠাঁই পেয়েছেন।
কয়েকজন আবাসিকের ঠিকানা খুঁজে পাওয়ায় তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরাতে পেরেছেন সাজু তালুকদার। কিন্তু, অনেক আবাসিকই নিজের ঠিকানা ভুলে গিয়েছেন। কারও কারও আবার পরিবার পরিজনই নেই। কুমোদেবীর প্রয়াণের পর আবাসিকদের সংখ্যা কমে হল ১৫।
পি/ব
No comments:
Post a Comment