দেবশ্রী মজুমদারঃ রোগী নিয়ে যাওয়া স্টেচারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটি। সেই মাটি লিফটের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে চারতলার ঘোরে। এমনই ছবি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। আর হাসপাতালের ঢোকার রাস্তা আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে নদী। সেই নোংরা, দূষিত জল মারিয়ে যাতায়াত করছেন রোগীর আত্মীয়রা।
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রামপুরহাটে গড়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু নিকাশিনালা ছাড়াই হাসপাতালের বিল্ডিং নির্মাণ করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে হাসপাতালের সামনে। একটু বেশি বৃষ্টি হলে বিভীষিকা চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। চারদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় হাসপাতাল চত্বর জলে থৈ থৈ করছে। সেই জলের উপর দিয়ে রোগীদের নিয়ে যাচ্ছেন তাদের আত্মীয়রা। এই দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত মানুষ। কিন্তু এবার স্টেচারে করে মাটি ব্যয়ে নিয়ে যাওয়া দেখে কিছুটা বিস্মৃত রোগীর আত্মীয়রা। রোগীর আত্মীয় হাসেম আলি বলেন, “ঝক ঝকে হাসপাতাল গড়া হয়েছে। কিন্তু জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হয়নি।
ফলে আমাদের চরম কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালের নোংরা জলের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে”। কিরন মাল বলেন, “রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা উচিত। তাছাড়া এই নোংরা জলে জীবাণু রয়েছে। ওই জলের উপর দিয়ে বার বার যাতায়াত করলে চর্ম রোগ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অবিলম্বে জল নিকাশির ব্যবস্থা করা উচিত”। শুধু হাসপাতালের সামনেই জল থৈ থৈ করছে তা নয়।
হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বাথরুমের নোংরা জল বাইরে বেরিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সেই জল আটকাতে স্টেচারে মাটি বোঝাই করে লিফটের মাধ্যমে চারতলায় নিয়ে গিয়ে বাথরুমের সামনে বাঁধ দিতে হচ্ছে কর্মীদের। তাও আবার প্রসূতি বিভাগের বাথরুমে। কারণ নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় বাথরুমের নোংরা জল, প্রস্বাব বাইরে বেরিয়ে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
ওই বিভাগে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ার খবর আমার কাছে নেই”। তবে হাসপাতালের সামনে জল জমে থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “ওই সমস্যা এখনই সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ নতুন যে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে তা রাস্তা থেকে অনেক নিচে। তাছাড়া জল নিকাশের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে জল জমছে। আরও যে বিল্ডিং হচ্ছে তার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে যাবে। কারণ হাসপাতালের সমস্ত বিল্ডিংয়ের নিকাশি ব্যবস্থা একই সঙ্গে করা হবে। সেটা সময় সাপেক্ষ”
পি/ব
No comments:
Post a Comment