দেবশ্রী মজুমদারঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঝুপড়ির ভিতরে ঢুকে ছমাসের শিশুসন্তানকে পিষে দিল ইঁট বোঝাই লরি। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত ওই শিশুর বাবা বাম দাস সহ আরও তিনজন। তাদের চিকিৎসা চলছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট ৮নং ওয়ার্ডের চামড়াগুদাম এলাকার কাছে কালি সাঁড়া মৌজায়।
এদিকে শিশু মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রামপুরহাট। উত্তেজিত জনতা টায়ার জ্বালিয়ে রামপুরহাট –বিষ্ণুপুর রাস্তা পথ অবরোধ করে। অভিযোগ, ওভার লোডেড লরি ওই রাস্তায় চলাচল করায় এরকমভাবে পথ দূর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পুলিশের যোগসাজশে এই ওভারলোডেড গাড়িগুলো রামপুরহাট – বিষ্ণুপুর রাস্তা দিয়ে মুর্শিদাবাদ যাতায়াত করছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ ইঁট বোঝায় লরি রাস্তার ধারে এক ঝুপড়ি বাড়ীর ভেতর ঢুকে পড়ে। সেই সময় পেশায় মজদুর বাম দাস তার ছমাসের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা জল ভরতে বাড়ির বাইরে ছিলেন। কয়েক মুহূর্ত আগেও তাঁরা আঁচ করতে পারেনি এমন মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটতে পারে। জানা গেছে, লরিটি ইঁট বোঝায় করে মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে রামপুরহাটের দিকে আসছিল। গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা রাস্তার ধারে ঝুপড়ি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে লরিটি। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় রামপুহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাতক লরির চালক ও গাড়ীর মালিক কে উত্তেজিত জনতা মারধর শুরু করে।
গাড়ীর ড্রাইভার বলেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম, মালিক গাড়ি চালাচ্ছিল। মালিক, ভালো চালাতে পারেনা, সবে শিখেছে আর মালিকের ড্রাইভিং লাইন্সেসও নেই। ঘটনাস্থলে রামপুহাট থানার পুলিস এসে গাড়ীর ড্রাইভার সহ মালিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment