শিলিগুড়ি, ২৭ সেপ্টেম্বরঃ ভোররাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ অগ্নিকান্ডের ঘটনানা ঘটে সিসিইউতে। ঘটনার জেরে মূহুর্তের মধ্যে সিসিইউতে থাকা রোগীদের স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়। সেসময়ই এক রোগীর মৃত্যু হয়। প্রশ্ন উঠছে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ইস্যুতে। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন পর্যটনমন্ত্রী ও মেয়র।
এদিন ভোররাতে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা আচমকাই ধোঁয়া বেরতে দেখেন সিসিইউ ইউনিট থেকে। এরপরেই আগুনের ফুলকি নজরে আসে। এরপরেই সিসিইউ ইউনিটে থাকা ১০ জন রোগীকে দ্রুত রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে শিফট করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের তৎপরতায় রোগীদের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের সিসিইউতে পাঠানো হয়। সে সময় এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত ওই রোগীর নাম সাবেরা খাতুন(৫০)। মৃতার স্বামী মহম্মদ নুরুলের বক্তব্য, হাসপাতাল কতৃপক্ষ আরও একটু উদ্যমী হলে আমার স্ত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হত।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, "এদিন ভেন্টিলেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। যদিও আগুন ছড়াতে পারে না। দমকল কর্মী ও হাসপাতাল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুনের ঘটনার জেরে রোগীদের সিসিইউ থেকে বের করার সময় একজন মারা যান। বাকীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে"।খবর পেয়েই মেডিক্যালেই ছুটে আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।তিনি গোটা সিসিইউ বিভাগ ঘুরে দেখেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।পরে তিনি সাংবাদিককদের জানান, "মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ খুব ভালো কাজ করেছে।তারা
তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে রোগীদের বাঁচিয়েছে।একজনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো তার মৃত্যু হয়েছে।এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক"।আবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।উনিও সিসিইউ ঘুরে দেখার পাশাপাশি সুপারের সাথে বৈঠক করেন।পরে তিনি জানান, "রাজ্যে এর আগেও হাসপাতালে আগুন লেগেছে কিন্তু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।তাই এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।আর এখনি রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে ফেলা উচিত।যারা রয়েছে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।তবে যেভাবে রোগীদের নার্সিংহোমে পাঠানো হয়েছে তা বেশ ভালো"।
এই ঘটনার জেরে আপাতত কিছুদিন বন্ধ থাকবে সিসিইউ।কবে চালু হবে তা এখনই বলা কঠিন।

No comments:
Post a Comment