গরুর কাছে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণের মতো বাঁশি বাজালে দুধের উৎপাদন বাড়ে, দাবি দিলীপের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 27 August 2019

গরুর কাছে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণের মতো বাঁশি বাজালে দুধের উৎপাদন বাড়ে, দাবি দিলীপের




প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;   অসমের শিলচরের লোক উৎসবের সূচনা করে এক বিজেপি বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল দাবি করেন, গরুর কাছে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণের মতো বাঁশি বাজালে দুধের উৎপাদন বাড়ে।  শিলচরের বিজেপি বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যের কি আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব, নাকি সবটাই ধর্মীয় আবেগতাড়িত! মার্কিন পশুচিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যানা ওব্রায়ানের মতে, সঙ্গীত, সুর গরুর দুধের উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।


 শুধু ডঃ ওব্রায়ানই নয়, ‘জর্জিয়ার স্কুল অব ভেটেরিনারি মেডিসিন’-এর সহঅধিকর্তা ডঃ নিয়ান অলওয়ার্থ সম্প্রতি বলেন, “এ নিয়ে কেন বার বার গবেষণার প্রয়োজন হচ্ছে জানিনা! হয়তো গবেষকরা উত্পাদনের প্যারামিটারগুলি ভাল করে লক্ষ্য করছেন না। ধীর এবং শ্রুতিমধুর ছন্দ উত্পাদন বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সহায়ক। ব্রিটেনের লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মনোবিজ্ঞানীর করা ২০০১ সালের সমীক্ষায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।



২০০১ সালের ওই সমীক্ষার রিপোর্টে লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মনোবিজ্ঞানী ডঃ অ্যাড্রিয়ান নর্থ আর তাঁর সহকর্মী লিয়াম ম্যাকেনজি দাবি করেন, ধীর ছন্দের শ্রুতিমধুর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গরুর দুধের উত্পাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। লিংকনশায়ারের একাধিক খামারে ৯ সপ্তাহ ধরে দিনের মধ্যে টানা ১২ ঘণ্টা ধীর ছন্দের শ্রুতিমধুর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চালিয়ে তাঁরা দেখেছেন, খামারগুলিতে দুধের উত্পাদন অন্তত ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।



 এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মধুর সঙ্গীতের প্রভাবে খামারের প্রতিটি গরু প্রায় ৭৩০ মিলিলিটার দুধ বেশি দিয়েছে। ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী ম্যাকেনজি বলেন, ‘যে ভাবে শ্রুতিমধুর সঙ্গীত মানুষের মানসিক চাপ, ক্লান্তি কমিয়ে স্বস্তি দেয়, কর্মদক্ষতা বাড়ায়, গবাদি পশুর ক্ষেত্রেও ঠিক সে ভাবেই কাজ করে।’



পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad