মেক্সিকোর দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত কেনকুনের এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে একটি সেতু পাড় করতে হয়। প্রচলিত কথা অনুযায়ী এই সেতুটি বানানোর সময়ে বার বার ভেঙ্গে পরছিলো। তাতে ইঞ্জিনীয়াররা অবাক হয়ে যান এবং কারন কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন স্থাণীয় মায়া প্রজাতির লোকেরা জানান যে তারা সেতু বানানোর আগে অনুমতি নেন নি, সেই কারনেই এটি ভেঙ্গে পরছে।
ইঞ্জিনীয়াররা তাদের সমস্ত সরকারী অনুমতি নেওয়া কাগজ পত্র দেখালে তারা বলেন সেতু বানাতে হলে আরও একজন আছে যাদের অনুমতি নেওয়া খুব দরকার। তারা হলেন এখানকার জমির রক্ষাকর্তা, অ্যাঁলাসাস। সেখানকার স্থানীয় পুজারী অ্যাঁলাসাসদের অনুমতি নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে একটি ঘর বানিয়ে দেন এবং তারপর সেতুর কাজে আর কোন বাধা আসে নি।
অ্যাঁলাসাস হল বামন আকৃতির হাঁটুর উচ্চতার একপ্রকার আত্মা বিশেষ। মায়াদের বিশ্বাস এটা তাদের পুর্বপুরুষদের আত্মা অথবা জমির আত্মা এবং তারা মায়া জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। যদিও তারা অদৃশ্য হয় কিন্তু যে কোন সময়ে শারীরিক রূপ ধারন করতে পারে এবং মায়াদের পারম্পরিক পশাক পড়ে তাদের সাথে মিলে যেতে পারে।
তাই তাদের মাঝে উপস্থিত অ্যাঁলাসাসকে শনাক্ত করা কঠিন। এই আত্মা অশুভ নয়। তারা জমির প্রতিরক্ষার জন্য সেতু ভেঙ্গে ফেলছিল। যদি তাদের সাথে সম্মানজনক ভাবে ব্যাবহার করা হয় তাহলে ভালো ভাগ্য ফিরে আসে এবং যদি তাদের উপেক্ষা করা হয় তবে তারা নানান ধরনের ছলনা করে থাকে।
মায়াদের বিশ্বাস যে তাদের ভুট্টার জমিতে যখন চাষীরা ছোট ঘর তৈরি করে তখম অ্যাঁলাসাসরা খুব খুশি হয় এবং ৭ বছর পর্যন্ত ভুট্টা চাষের উপযুক্ত আবহাওয়া এবং পরিবেশ তৈরি করে দেয়। কিন্তু সাত বছর পাড় হয়ে গেলে সেই ঘরের দরজা এবং জানালা বন্ধ করে অ্যাঁলাসাসদের থাকার কারনে ছেড়ে দিতে হয়। তা না হলে তাদের উপদ্রব শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ছল করা শুরু করে তারা।
অ্যাঁলাসাসরা জমির মালিকদের প্রতি খুব বিশ্বাসনীয় থাকে এবং সেই জমি যদি বিক্রী করতে হয় তবে তারা সামনে হাজির হয়। নতুন মালিকের বাচ্চাদের ভয় দেখাতে থাকে। তাদের খুশি করার জন্য নতুন মালিক খাবার, সিগারেট, মধু এবং ভুট্টা তাদের উদ্দেশ্যে দান করে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment