দেবশ্রী মজুমদার: অভিযোগের চাপান উতোর প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারের। তার জেরে সরকারি স্কীমের কাজ বন্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে মুরারই-২ ব্লকের দেলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।জানা গেছে, ১০ লক্ষ ৫২ হাজার ১৭৮ টাকা ৭৭ পয়সার একটি কাজ চলছিল। নিয়ম মাফিক কাজ শুরু থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে কাজ আপাতত বন্ধ।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সনাতন রাজমাল্য বলেন, ওয়ার্ক অর্ডার বা সিডিউল মেনে কোন কাজ করছে না এই ঠিকাদার। ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের অর্থাৎ ১১২৫ বর্গফুটের অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষের কাজে ২০টি পিলার দেওয়ার কথা দিল ১৪টি। রড দেওয়ার কথা ৮ এম এম । দিল ৬ এম এম। ইঁট দেওয়ার কথা ১ নম্বরের। দিল ৩ নম্বরের। ছাদ ঢালাই আমার অবর্তমানে করে দিল।
এই স্কুল তো আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। খরচ হবে। অথচ ভালো কাজ কেন হবে না? ইঞ্জিনিয়ার বিধান চন্দ্র মিত্রকে বলেছি। সবাইকে বলেছি। কাজ না হওয়ায় বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। শুনছি, ওরাও একটি অভিযোগ করেছে। যদি ওদের এই দুর্নীতিতে বাধা না দিতাম, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ হতো না। আমি চাই সব কিছুর তদন্ত হোক।
অন্যদিকে, ঠিকাদার আব্দুল হাই বলেন, প্রধান শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার নন। আমি ইঞ্জিনিয়ারের কথা মত কাজ করেছি। উনি আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিলেন, দিই নি। তাই কাজ যখন শেষের দিকে তখন বাধা দিয়েছেন। মিস্ত্রীদের গালিগালাজ করেছেন।এব্যাপারে মুরারই-২ ব্লকের বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, দুই পক্ষ অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
পি/ব
No comments:
Post a Comment