এমন কিছু মুক্তি যোদ্ধা ভারতের স্বাধীনতার জন্য যাদের অবদান অতুলনীয়। কিন্তু তারা পায় নি ইতিহাসের পাতায়ে কোন জায়গা। তাদের এই গৌরবময় আবদানকে তুলে ধরতে আজকের এই লেখা।
করিম বক্স: (১৮৭৯ সাল) জন্ম পাঞ্জাবের অমৃতসরে তার জন্ম। যদিও পেশায় তিনি ছিলেন প্রহরী। ব্রিটিশ রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাসমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে জালিয়ানওয়ালাবাগে গণপ্রতিবাদ সভায় যোগদান করেছিলেন। সশস্ত্র সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। করিম শাহ: জন্ম উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশোয়ার জেলায়। পিতার নাম দাউদ শাহ।
১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহন করে সশস্ত্র পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদের মৃত্যু বরণ করেন। খায়ের দীন: ( ১৮৯৪) অভিবক্ত পাঞ্জাবের অমৃতসরের বাসিন্দা ।পিতা মংটু দীন। পেশায় তিনি তেল ব্যবসায়ী। ব্রিটিশ বিরোধী গণ আন্দোলনের ভাবাবেগ মথিত পরিবেশে দেশপ্রেমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং জালিয়ানওয়ালাবাগে রাষ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী গণপ্রতিবাদ সভায় যোগদান করেছিলেন। সশস্ত্র সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
চাঁদ খান: মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা।১৮৫৭ খ্রীস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিদ্রোহের নেতৃত্ব স্হানীয় সংগঠক সীতারামের অধীনে কোম্পানীর বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন ।কোম্পানীর আদালত তাঁকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করলে তিনি ফাঁসির বেদীতে জীবন উৎসগ করেন। চারাগ দীন: ( ১৯০১) জন্ম পাঞ্জাবের লাহোর ( বর্তমান পাকিস্তান)। পিতার নাম মহম্মদ বক্স। পেশায় শ্রমিক। ব্রিটিশ বিরোধী গণ আন্দোলনের ভাবাবেগ মথিত পরিবেশে দেশপ্রেমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং জালিয়ানওয়ালাবাগে রাষ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী গণপ্রতিবাদ সভায় যোগদান করেছিলেন। সশস্ত্র সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
চান্দা বক্স: দিল্লীর অধিবাসী। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ভারতীয় সিপাহীদের মহাবিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে বিদেশী সরকারের সামরিক আদালতে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়ে শহীদ হয়েছিলেন। চাঁদ খান: হরিয়ানার অধিবাসী। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহীনির সৈনিক তিনি ১৮৫৭ খ্রীস্টাব্দে দেশীয় সিপাহীদের কোম্পানী বিরোধী বিদ্রোহে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোম্পানীর বিচারপতিদের মৃত্যুদন্ডাজ্ঞা অনুসারে ১৮৫৮ সালে ২রা জানুয়ারী তিনি ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।
pb
No comments:
Post a Comment