দেবশ্রী মজুমদার এব্যাপারে তারাপীঠ মন্দির সেবায়েত কমিটির সদস্য ও পুরোহিত তথা গবেষক লেখক প্রবোধ কুমার বন্দোপাধ্যায় তারাপীঠে এই কৌশিকী মাহাত্ম্য নিয়ে বলেছেন---
কথিত আছে মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজ কোষ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে এক পরমাসুন্দরী দেবী মূর্তিতে আবির্ভূত হন। নিজ কোষ শরীর থেকে বের হওয়ার জন্য তিনি হলেন কৌশিকী। কৌশিকীদেবী আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন।
আবার শোনা যায় কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। গতবছর পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। তার মধ্যে রেলপথেই এসেছিলেন প্রায় চার লক্ষের বেশি মানুষ। এবার পূন্যার্থীর সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে।
পি।ব
No comments:
Post a Comment