আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 17 August 2019

আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে




 দেবশ্রী মজুমদার:  শুনতে অদ্ভুত শোনালেও, আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে। কথাটি সত্য বলে মনে করে পামারের মত বিশেষজ্ঞ থেকে খোদ জাতিপুঞ্জ।   



আমরা সাধারণত প্রাণীজ খাবার খেতে পছন্দ করি। কিন্তু ভেবে দেখি না, সেই খাদ্য কতটা উদ্ভিজ্জ খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের দেখতে হবে, আমাদের দেহে হয়তো জনা প্রতি দুশো ক্যালোরি দেহের প্রয়োজন। সেটাই উৎপাদন করতে গেলে আমাদের কত সময় লাগবে! 


ইংরেজিতে একটি কথা আছে। অপব্যয় করবেন না, অভাব হবে না। তাই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ ঠিক নয়। এক সাথে নটকোনার জিনিস পত্র মজুত করবেন না। বরং বার বার দোকানে যান। তাহলে কম কিনবেন। বেশি করে রান্না করবেন না। অতিরিক্ত কষা খাবার খাবেন না। অর্থাৎ ভোজনের ক্ষেত্রে অধিকন্তু ন দোষায় চলবে না।     



প্রাণিজ খাবার কম খাওয়ার পক্ষে অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন মানডে মিট অবজার্ভ হোক। অর্থাৎ সপ্তাহে একদিন আমিষ। বাকি ৬ দিন নিরামিষ। এতে যেমন পকেটের সাশ্রয়। তেমনি শরীর ভালো যাবে। অন্যদিক দিয়ে ভাবলে দেখুন, উদ্ভিদ প্রচুর মিথেন গ্যাস উৎপাদন করে পরিবেশে। আর সেই উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থাকে গরু, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণী। তাই এগুলো কম খান। অর্থাৎ আপনার পাতে থাক অধিক মাত্রায় উদ্ভিজ্জ খাবার। অন্যদিকে, এক চতুর্থাংশ থাক প্রাণিজ খাবার।   



 কম খেলে বেশি বাঁচবেন। তাই নয়। কম খেলে উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন মসুর ডাল, শস্য কম বেশি বেশি উৎপাদন করতে হবে না। এগুলো উৎপাদন করতে গিয়ে শেষ হচ্ছে আমাদের জল ভাণ্ডার। অন্যদিকে, আমিষ খেলে চিকেন খান। তাতে শরীরের পক্ষে ভালো। রেড মিট খেতে হবে না। রেড মিট হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর। আবার এটাও চিন্তার বিষয়, এই পোল্ট্রি প্রাণীদের উদ্ভিজ্জ খাবার বলতে ডাল শস্য বেশি দেওয়া হয়। দেখা উচিৎ যেন ঘাস জাতীয় খাবার বেশি ব্যবহার হয়।  পরিশেষে, জমি কমছে, তাই চাষ কম হবে। তাই এখন সাবধান না হলে, একদিন আমাদের জাঙ্কফুডের


পি/ব


উপর বেশি নির্ভরশীল হতে হবে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad