দেবশ্রী মজুমদার: শুক্রবার সকালটা বিশ্ব ভারতীর জন্য ভালো কাটলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিবকে মিডিয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। কারণ উপরাষ্ট্রপতির পরিদর্শনে মিডিয়া প্রবেশ নিষেধ ছিল।বিশ্বভারতীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
শুক্রবার বিকেলে মিডিয়া একযোগে উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে। কর্মসূচির সাফাইয়ে বলেন, এটা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। যদিও তিনি খোলসা করে বলেন নি সরকার না বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত এর পিছনে আছে। জানা গেছে, শুরু থেকেই মিডিয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানায় নি। এব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের কাছে পাশের জন্য পাঠানো হয় নি। ব্যতিক্রম ছিল প্রসার ভারতী। বিশ্ব ভারতীর চক্ষু শুল মিডিয়া। উপাচার্যের রুঢ় ব্যবহারে অনেকেই বিরক্ত। অনেকেই এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সেন বলেন, কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। শীঘ্রই এর সমাধান হবে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের সংস্কারের পর এদিন দেশের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু শান্তি নিকেতনে দেশের উদ্যেশে কবির প্রিয় শ্যামলী গৃহ জাতির কাছে উৎসর্গ করবেন। আগে থেকেই এই কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। সেই মোতাবেক রাজ্যের গভর্নর জগদীপ ধানকর এবং রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন। দ্বারোদ্ঘাটোনের পর উপরাষ্ট্রপতি সোজা লিপিকা গৃহে চলে যান।
ভিজিটর্স বুকে তিনি লেখেন, গর্বিত বোধ করছি , আবেগ তাড়িত হচ্ছি, সংস্কারের পর শ্যামলী গৃহের দ্বারোদ্ঘাটন করে। যে গৃহে একসময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ও মহাত্মা গান্ধী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। শান্তি নিকেতন আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা শান্তি, জাতীয়তাবাদ এবং প্রকৃতি প্রেমের শিক্ষার ক্ষেত্রে। আমি দেশের এই মহান সন্তানের স্মৃতিতে প্রনাম জানাই। এদিনটি বিশ্ব ভারতীর পক্ষে সুখকর ছিল না।
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। পোস্টারে লেখা ছিল, স্বেচ্ছাচারী উপাচার্যকে দূর করো। বিশ্ব ভারতী চায় না অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। এই পোস্টারে কোন সংগঠনের নাম না থাকায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোন গুরুত্ব দিতে চায় নি। তবে অনুমান, কতিপয় অধ্যাপক ও কর্মীরা এর পিছনে থাকলেও থাকতে পারেন। যেহেতু তাঁরা চান না, উপাচার্য থাকুন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment