কম্বোডিয়ার ফনম পেনের বাইরে এক ধুল ভরা রাস্তার পাশে অবস্থিত এই স্থানটি, যদিও বহু আগে একটি বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত কিন্তু পরবর্তী কালে এটি একটি কারাগারে পরিনত হয়। ১৯৭৬ সালে খেমন রগ এই বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে এস-২১ নাম দেন এবং এই স্থানটি কয়েদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা, তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলানো আর দোষী প্রমানিত হলে ফাঁসি দেওয়ার কাজে ব্যাবহ্রিত হওয়া শুরু হয়।
সেই সময়ের কয়েদী আর তার সাথীদের অনেক ছবি পরবর্তি কালে উদ্ধার হয়েছে যার থেকে তাদের উপর চালানো অত্যাচারের প্রমান পাওয়া গেছে। কম্বোডিয়ার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মানুষকে আনা হয় এই কারাগারে। ভয়ংকরভাবে অত্যাচার করা হয় তাদেরকে। একটু একটু করে মেরে ফেলা হয়। প্রায় ১৭ হাজার মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর না বলা গল্প লুকিয়ে আছে এই স্থানটিতে।
অনেক নিরপরাধ মানুষের চিৎকার লুকিয়ে আছে। মাত্র ১২ জন বাদে এখানে আসা সব কয়েদিই মারা যায় একটা সময়। এই মৃত সৈনিক ও মানুষদের আত্মা এখনো জাদুঘরটিতে আছে বলেই মনে করে সবাই। তাই হঠাৎ করে কোন অদ্ভুত কিছু ঘটলেও সেটা খুব একটা আমলে নেওয়া হয় না।
তবে ভূতুড়ে স্থানের ভেতরে ফেলতে চাইলে, এটাকে অবশ্যই ভূতুড়ে বলাই যায়। এস-২১ এর টরচার ম্যানুয়াল হিসাবে কয়েদীদের উপর অত্যাচার চালানোর অনুমতি ছিল কিন্তু মেরে ফেলার অনুমতি ছিল না। এখনে বেশির ভাগ তারা কয়েদী হতো যারা তখনকার প্রশাসনের উপর আওয়াজ তুলত। তাদের দেশদ্রোহী মানা হতো।
পি/ব
No comments:
Post a Comment