ধর্ণা থেকে উঠে শান্তি নিকেতন থানায় পাত্রী: সাহায্যের হাত মহিলা থানার - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 31 August 2019

ধর্ণা থেকে উঠে শান্তি নিকেতন থানায় পাত্রী: সাহায্যের হাত মহিলা থানার

1



দেবশ্রী মজুমদার:    চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো! না অঞ্জন দত্তের গানের রিমেক নয়। বিয়ের আগে চাকরি পান নি পাত্র। তখন সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু ভালো চাকরি পেয়েই পরিস্থিতি পাল্টে গেল। আজকের বেলা সায়েরা বিবি। অবশ্য এই বিয়েটা এরেঞ্জ ম্যারেজ!   



 রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হওয়ার এক বছর পর বেঁকে বসে পাত্র। মেয়ে পক্ষকে পরিস্কার জানিয়ে দেয়, বিয়ে করতে রাজি নন তিনি। বাধ্য হয়ে ছেলের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন ওই মহিলা। ঘটনা স্থলে পৌঁছে যায় শান্তি নিকেতন থানার পুলিশ।       



জানা গেছে, বোলপুরের শান্তি নিকেতন থানার অন্তর্গত লায়েক বাজারের বাসিন্দা সেখ জামিরুলের সাথে নানুরের সাঁকুলির বাসিন্দা সায়েরা বিবির রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়। তখন সেখ জামিরুল চাকরি পান নি বলে কনে পক্ষ পরিবারের তরফে জানা যায়। এতদিন পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় শনিবার ছেলের বাড়ির সামনে  ধরনায় বসেন নানুর থানার সায়েরা বিবি।



 শান্তিনিকেতন থানার লায়েকবাজারের  জামরুল সেখ ইয়েস ব্যাঙ্কে কর্মরত।  আগে বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক হয়।  ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পণ হিসেবে মেয়ের বাবার কাছে গ্রহন করেন পাত্র। রেজিস্ট্রারী বিয়ে করে পাত্র মেয়ের বাড়িতে জানান, বাড়ির কাজ শেষ হলে রীতি মেনে বিয়ে করে বাড়িতে তুলবো। কিন্তু কিছুদিন পেরোতে না পেরোতে বেঁকে বসে জামরুল সাহেব জানান, বিয়ে করতে পারবেন না।  টাকা ফিরত নিয়ে নিন।     কিন্তু এতো কিছু ঘটে যাওয়ার পর টাকা ফেরত নিতে রাজি হননি মেয়ের পরিবার।



 শনিবার সন্ধ্যায় ছেলের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন মেয়ে।  যদিও তার বেশি ক্ষণ হয় নি। শান্তিনিকেতন থানায় খবর পৌঁছালে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে  আলোচনার জন্য থানায় নিয়ে যান।    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুই পক্ষ থানায় প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে তাঁদের অভিযোগ জানাচ্ছেন। খবর লেখার সময় পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নি। মেয়ের বাবা সালিম সেখ জানান, মেয়ে শান্তিতে শ্বশুর বাড়িতে ঘর সংসার করুক। এটা তিনি চান।



পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad