দেবশ্রী মজুমদারঃ মহালি ভাষার মত বিপন্ন ভাষা নিয়ে ভাষা কেন্দ্রের নিরলস প্রচেষ্টায় ওই কেন্দ্রের পাঁচ সদস্যের একটি দল। তাঁরা কাজ করছেন লালগড় সন্নিহিত গঙ্গাধরী গ্রামে। ভাষা কেন্দ্র ঝাড়গ্রামে ভাষা সমীক্ষা ও পাশাপাশি নথিভুক্ত করণে নিযুক্ত তাঁরা।
বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলার উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর "বিপন্ন" ভাষা ও সংস্কৃতির উপাদানসমূহকে নথিভুক্তকরণের কাজে নিযুক্ত আছে।
অধ্যাপক উদয়নারায়ণ সিংহের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বে এই কেন্দ্র স্থাপিত হয় ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থানুকূল্যে। বর্তমানে অধ্যাপক কৈলাশচন্দ্র পট্টনায়েক এই কেন্দ্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রথম থেকেই এই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য ছিল মুখ্য ভাষা ও সংস্কৃতির চাপে লুপ্ত হতে চলা ভাষার নথিবদ্ধকরণ এবং তার পুনরুজ্জীবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যথাযোগ্য গুরুত্বের সঙ্গে এই কেন্দ্রের কর্মোদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন।
বিগত ১০ দিন যাবৎ পাঁচ-সদস্যের এই দলটি কালাঝরিয়া, পারুলিয়া, গোদারাস্তা, লালগেরিয়া গ্রামের মতো প্রত্যন্ত জায়গায় কাজ করছে লোধা, মুণ্ডা, কোঁড়া এবং কুর্মালি গোষ্ঠীর ভাষিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহকে নথিবদ্ধ করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছে।
বর্তমানে ওঁরা কাজ করছেন মহালি ভাষার উপরে লালগড় সন্নিহিত গঙ্গাধরী গ্রামে। বিপন্ন ভাষা কেন্দ্রের ক্ষেত্র সহায়ক শ্রী রাজদীপ ঘোষ ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মানব-বিদ্যা এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে আগত তরুণ ক্ষেত্রসমীক্ষকদের নিয়ে গঠিত এই দলটিকে যথাযথ সাহায্য করার জন্য।
এই দলে রয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানের অগ্নিভ দত্ত এবং অরবিন্দ কুমার রাওয়াত, সমাজকর্মের তন্ময় আঢ্য এবং নৃবিজ্ঞানের শাহুনুর সরদার।
ঝাড়গ্রামের সম্মাননীয় জেলা শাসক, অপর জেলা শাসক, এসপি, অপর এসপি সকলেই তাঁদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানব সম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়োজিত এই দলের সারস্বত এবং গবেষণার এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য।
পি/ব
No comments:
Post a Comment