দেবশ্রী মজুমদার: রসে বসে বাঙালি। খাদ্য রসিক বাঙালিকে উদ্দেশ্য করে অনেকেই একথা বলে থাকেন। কেউ পছন্দ করেন তেল চবচবে ভাজাভুজি। আবার কেউ তেলে কষা রান্না। কিন্তু ভয় হয়, যদি কিছু হয়! আর তার জন্য মুশকিল আসান হল নির্বাচন। অর্থাৎ কোন তেল আপনি খাবেন? বাজারে হরেক রকম তেল পাওয়া যায়। কাচ্চি ঘানি থেকে মায় নারকোল পর্যন্ত। প্রথমে আসি--
আভাকডো তেলে:
এই তেল গরম হতে ৫২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা লাগে। স্যালাড থেকে হালকা রান্নায় এর জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর তেল। একদম চটচটে নয়। সান ফ্লাওয়ার তেল খুব স্বাস্থ্য সম্মত। হার্টের পক্ষে খুব ভালো বলে মনে করেন জ্যাকি নিউজেন্টের মত পুষ্টি বিদেরা। ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় তেতে ওঠে। এই তেলে রান্না অত্যন্ত সুস্বাদু। একদম চটচটে নয়। মাংস থেকে সমস্ত পদ নির্ভয়ে খেতে পারেন।
আঙুর বীজের তেল:
আঙুর সাধারণত মদ তৈরিতে লাগে। কিন্তু এই আঙুরের বীজ থেকে উপাদেয় তেল হয়। ৪২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় তেতে ওঠে। একদম চটচটে নয়। হার্টের পক্ষে খুব ভালো। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের পক্ষে এই তেলকে দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ওমেগা সিক্সের মত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপাদান আছে এই তেলে। অলিভ ওয়েল: ৩২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এই তেলে গরম হয়ে যায়। একদম চটচটে নয়। স্বাস্থ্য কর এই তেল। স্যালাড, সুপ যা খুশি খান অসুবিধা নেই। কোকোনাট
ওয়েল:
এই তেলের ব্যাপারে একটু সাবধান হওয়া উচিৎ। পুষ্টি বিদরা তাই মনে করেন। ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এই তেল গরম হয়। এই তেলে খুব চটচটে। ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা এই তেলে বেশি। অন্যদিকে ভেজিটেবল অয়েল স্বাস্থ্যকর। কর্ন, সোয়াবিন, রাইস ওয়েল অনেকটাই নিরাপদ। একদম চটচটে নয়।
চিনে বাদাম ওয়েল:
চিনে বাদাম তেল ডিপ ফ্রাইয়ের পক্ষে বেশ ভালো। একদম চটচটে নয়। স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। ওমেগা সিক্সে ভরপুর। চিনে বাদামে যাদের এলার্জি আছে। তাদের জন্য সুখবর। এই তেলে তাদের কোন সমস্যায় পড়তে হবে না। ভরসা দিয়েছে ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন। সংক্ষেপে এফ ডি এ। তবে সব কিছু নির্ভর করছে আপনার পকেটের উপর। কারন পেটে খেলে একটু আধটু পিঠে সইতে হবে বৈকি!
পি/ব
No comments:
Post a Comment