শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন না নিলেই বউমার হাত থেকে ফসকে যাবে পুরস্কার

 প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;      রোজ রোজ শাশুড়ি-বউমার ঝগড়া। আর এই রোজকার শাশুড়ি-বউমার ঝগড়া থামাতে এবার আসরে নামল পঞ্চায়েত প্রশাসন। সম্পর্ক ভাল হলেই মিলবে পুরস্কারও। হরিয়ানার হিসার জেলার হানসি মহকুমার জগ্গা বররা গ্রা্মে প্রায় ৩০০০ মানুষ বাস করেন। গ্রামের পঞ্চায়েতে মহিলা সদস্যের সংখ্যাই বেশি। তাঁদের দায়িত্বও যথেষ্ট বেশি। শহরের কাছাকাছি হওয়ায় সাইনি ও গুজ্জর সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাসকারী এই গ্রামে শিক্ষার হারও মন্দ নয়।



এই গ্রামেই এবার পঞ্চায়েতের তরফে গৃহশান্তিতে নজর দেওয়া হয়েছে । শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব দূর করতে বদ্ধপরিকর পঞ্চায়েত সদস্যরা। পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, সুখী সংসারে ভীষণভাবে কুপ্রভাব ফেলে এই শাশুড়ি-বউমার  খারাপ সম্পর্ক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাতে খারাপ সম্পর্কের ধারা বজায় না রাখে তাই শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কের উন্নতিই এখন লক্ষ্য পঞ্চায়েতের। তাই পঞ্চায়েতের তরফে ভাল বউমাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়।



তবে পুরস্কার জেতার শর্ত একটাই, শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন নিতে হবে। যে বউমা যত ভাল যত্ন নেবেন প্রতিযোগিতার দৌড়ে সেই বউমা তত বেশি এগিয়ে থাকবেন তিনিই। ভাল বউমার সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে পঞ্চায়েতের তরফে ওই মহিলার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলা হয়।



 হলে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট ‘ভাল’ বউমাকে পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে ৫ হাজার ১০০ টাকা। তবে পুরুষরা কীভাবে তাঁদের বাবা-মাকে ভাল রাখবেন, তার কোনও নিদান দেয়নি পঞ্চায়েত।চলতি বছর পঞ্চায়েতের তরফে মহিলাদের সম্মানিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘ভাল’ বউমা হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন ৫০ বছর বয়সি পুষ্পা সাইনি। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি তাঁর শয্যাশায়ী শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করছেন তিনি।



পি/ব