যখন আপনার সন্তান কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তখন, যতক্ষণ প্রয়োজন আপনার সামনেই তাকে সেটি ব্যবহার করতে বলুন। এমনকি তার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রীন আপনি যেন দেখতে পান, এমনভাবে বসতে দিন। সন্তানের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার শেষে, কম্পিউটারের ও ইন্টারনেট ব্রাউজারের হিষ্টরি চেক করুন। হিষ্টরি যেন মুছে না ফেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মিত স্মার্টফোনের ইন্টারনেট ব্রাউজারের হিষ্টরি চেক করুন। যদি সে হিষ্টরি মুছে ফেলে তবে তার জন্য তাকে সতর্ক করুন।
হিষ্টরি মুছে ফেলার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন কিন্তু থাকবে। আ্যডাল্ট ওয়েবসাইট ও কন্টেন্ট যেন দেখতে না পারে, সেজন্য আ্যডাল্ট ওয়েবসাইট ও কন্টেন্ট ব্লক করার অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মিত মোবাইলের মেমোরীকার্ড চেক করুন। সন্তানের ক্ষতি হতে পারে, এমন কোন কিছু যেন মোবাইলে থাকতে না পারে সেটি নিশ্চিত করুন। হেডফোন ব্যবহার খুবই সীমিত করুন। হেডফোন কানের ও মস্তিস্কের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করে, সেই সাথে অমনোযোগী করে তোলে। নিয়ন্ত্রন না থাকার কারনে অনেক অল্প বয়সী সন্তানরা রাস্তাঘাটে হেডফোন ব্যবহার করতে থাকে। এতে আপনার সন্তান যেকোন সময় দুঘটনার শিকার হতে পারে।
অপ্রয়োজনে ল্যাপটপ, নোটবুক, নেটবুক কিংবা ট্যাবলেট কম্পিউটার বা ট্যাব ব্যাগে নিয়ে ঘুরতে দিবে না। সন্তান তার বন্ধুদের সাথে মোবাইলে কথপোকথন বা ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ের সময় কোন সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে কিনা তা খেয়াল করুন। এমন কিছু টের পেলে তার উত্তর জানার চেষ্টা করুন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান কখনো সাইবার ক্যাফেতে যায় কিনা তা তদারকি করুন। সাইবার ক্যাফে গুলোতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সম্ভাব্য সকল ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রাখাতে চেষ্টা করুন, বিশেষ করে সেই সমস্ত নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু সন্তান নিয়মিত ভিজিট করে। নৈতিকতার অবক্ষয় হতে পারে এমন সব ধরনের টিভি প্রোগ্রামও সন্তানদের সামনে দেখা বন্ধ করুন। নৃশংস, বিভৎস, ভৌতিক ও আডাল্ট ফটো, ভিডিও কিংবা টিভি প্রোগ্রামও সন্তানদের সামনে দেখা বন্ধ করুন।
কে
No comments:
Post a Comment