যেই মানুষরা নিয়মিত যৌনতা উপভোগ করেন তাদের জীবনের কিছু বিজ্ঞানসম্মত গোপন বিষয় বেরিয়ে এসেছে -
যারা বেশি সহবাস করেন তারা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। কারো ব্যক্তিত্ব যৌনতাসহ তার জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে। জার্নাল অফ রিসার্চ ইন পার্সোনালিটিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নববিবাহিত দম্পতির নারী সদস্যটি তার স্বামীর সঙ্গে সহজেই একমত পোষণ করেন অথবা অপরকে সন্তুষ্ট করার মতো প্রবণতাসম্পন্ন হন সেসব দম্পতি অন্য আর যে কোনো দম্পতির চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে যৌনতা উপভোগ করেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান ছোট্ট একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য কয়েক ঘণ্টা বেশি ঘুমানোর ফলে কলেজ-বয়সী নারীদের মধ্যে উচ্চ যৌনাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। যৌনমিলনের সময় তারা 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' কথাটি বলেন আবেগগত ঘনিষ্ঠতা সত্যিকার অর্থেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকেও উসকে দেয়। জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনজীবনে সন্তুষ্ট পুরষদের ৭৫% আর সন্তুষ্ট নারীদের ৭৪% বলেছেন তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী যৌনমিলনের সময় 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' কথাটি বলেছেন। একই নারী-পুরুষরা এও বলেছেন, খোশমেজাজ এবং যৌন উত্তেজক আলাপ-আলোচনাও যৌন সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে দম্পতিরা যৌনতাকে আরো উপভোগ্য করে তোলেন। এ ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালান। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে কামসূত্রের দ্বারস্থ হন তারা। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যৌনমিলনের সময় ইতিবাচক ফল দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক তৎপরতা যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়। বিশেষকরে পুরুষদের ক্ষেত্রে কথাটি বেশি সত্য। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষরা বেশি শরীরচর্চা করেন তাদের লিঙ্গোত্থানে কোনো সমস্যা হয় না।
দাম্পত্য সম্পর্কের দায়িত্ব হিসেবেই শুধু যৌনমিলন করেন না যৌনতা মূলত আনন্দদায়ক বা উপভোগ্য তৎপরতা হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত। এটিকে শুধু দাম্পত্য সম্পর্কের একটি গতানুগতিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা ঠিক না। কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যখন দম্পতিরা যৌনতাকে দৈনন্দিন একটি রুটিনে পরিণত করেন তখন তারা একে নিত্যদিনের গৃহস্থালি কাজের মতোই বিবেচনা করেন।
কে
No comments:
Post a Comment