মানুষের মাথা দিয়ে বল খেলাই তার নেশা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 16 August 2019

মানুষের মাথা দিয়ে বল খেলাই তার নেশা




আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায় এডমুন্ডের জন্ম। তাঁর জন্ম হয় ১৯৪৮ সালে। কৈশোরেই তার উচ্চতা দাঁড়ায় ৬ ফিট ৪ ইঞ্চি। এই উচ্চতা নিয়ে মা মাঝে মাঝে একটু মজা করত বলে  মায়ের উপর রাগ মেটাতে   এডমুন্ড জ্যান্ত পুঁতে ফেলল পোষা বিড়ালকে। তারপর মাটি খুঁড়ে বিড়ালের দেহ বের করে তার মাথা কেটে ফেলে ১৫ বছর বয়সী এডমুন্ড। যখন তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে এডমুন্ডের মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হতে দেখা  যায়।



 ১৫ বছর বয়সী এডমুন্ড তখন থাকতে যায় দাদু-দিদার কাছে। সেখানে গিয়ে সে খুন করে নিজের   দিদাকে। কারণ তার জানতে ইচ্ছে হয়েছিল‚ দিদাকে খুন করলে কেমন লাগে ! তারপর খুন করে দাদুকেও।  কারন তার মনে হয়েছিল দাদু বুঝুক দিদার মরে যাওয়ার সময় কেমন গেলেছিল!    ধরা পড়ার পরে নাবালক অপরাধী হিসেবে এডমুন্ডের স্থান হয় সংশোধনাগারে। সাইক্রেটিক‚ প্যারানয়েড   স্কিজোফ্রেনিক এডমুন্ডের মানসিক চিকিৎসা চলে। কিন্তু তাতেও  কোনও কাজ হয়নি সেটা বোঝা গিয়েছিল তার মুক্তির পর।



 মুক্তির পরে এডমুন্ড মা‚ ক্লারনেলের কাছে থাকতে যান । ততদিনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন ক্লারনেল। এখন  এডমুন্ডের রক্তের স্বাদ লেগে গেছে।সে আবারও খুন করলেন আর একটা পোষা বিড়ালকে। তারপর শিকার  ধরতে রাস্তায়‚ গাড়ি চালিয়ে বেরোলেন।  যে সব কিশোরীরা হিচ হাইকিং করে ঘোরে রাস্তায়‚ তাদের নিশানা করতেন তিনি। তার ভদ্র মুখ দেখে কিছু না ভেবেই গাড়িতে উঠে পড়ত মেয়েরা। প্রতি বার একটি করে মেয়েকে গাড়িতে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন এডমুন্ড।


তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে খুন করতেন শিকারকে। মৃতদেহের সঙ্গে রাত কাটিয়ে পরে কেটে ফেলতেন তাদের মাথা। আক্ষরিক অর্থেই বল খেলতেন কাটা মুণ্ডু নিয়ে! এরপর লোপাট করে ফেলতেন গোটা দেহটাই। এভাবে ৬ জন কিশোরীকে মারার পরে একদিন নিজের ঘুমন্ত মাকেও খুন করেন এডমুন্ড। মাথায় হাতুড়ি মেরে‚   গলা কেটে খুন করেন ৫২ বছর বয়সী ক্লারনেলকে। এরপর মায়ের শবের সঙ্গেও যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হন।


 এখানেই শেষ নয়। এবার এডমুন্ড ডিনার এবং সিনেমা দেখার জন্য বাড়িতে মায়ের বান্ধবী সারাকে ডাকেন।  কিছু না বুঝে ফাঁদে পা দেওয়ার ফলে ৫৯ বছর বয়সী সারার পরিণতিও হয় বান্ধবীর মতোই। দুটি দেহ আলমারিতে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান এডমুন্ড। পরে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।তার আজীবন কারাদণ্ড। তবে শোনা যায়‚ যে সে এখন আর জেলের মধেই থাকতে চান। তার সেখানেই থাকতে খুব ভালো লাগে।


  পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad