মৃত দেহ নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 15 August 2019

মৃত দেহ নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ




স্কুল চলাকালীন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত দেহ নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাল পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিক, শিক্ষকা, শিক্ষাকর্মীরা চুরির অপবাদ দেয় ওই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে। এই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই ছাত্রী। স্কুলের অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে স্কুলের অভিযুক্ত ওই শিক্ষিক, শিক্ষকা, ও শিক্ষাকর্মীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার স্কুল খোলার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয় বারুইপুরের দক্ষিণ দুর্গাপুর তিলোত্তমা বালিকা বিদ্যালয় চত্বর। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বারুইপুর থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। এর জেরে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন রাতে বারুইপুর থানায় ওই ছাত্রীর বাবা দীপঙ্কর পুরকাইত ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, ও শিক্ষা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ আগস্ট সকালে ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া পুরকাইত আত্মঘাতী হন স্থানীয় চন্দনপুকুর গ্রামে নিজের বাড়িতে। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কিন্তু কি কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ওই ছাত্রী তা বুঝে উঠতে পারেনি ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যান প্রিয়ার মা ও পরিবারের লোকজন সহ অন্য অভিভাবকরা। সেখানে গিয়ে প্রিয়ার সহপাঠিদের কাছে জানতে পারেন প্রিয়াকে চোর অপবাদ দিয়েছিল স্কুলের শিক্ষিকরা। এই বিষয়ে প্রিয়ার মা সুলেখা পুরকাইত নিজেই জানান, বৃহস্পতিবার স্কুলের টিফিনের সময়ে ২ টাকা পড়ে ছিল ক্লাসে। তা তুলতে গিয়েছিল প্রিয়া। কিন্তু এর পর স্কুলে সকলের সামনে মেয়েকে চোর বলে অপবাদ দেয় স্কুলের শিক্ষকরা। এক শিক্ষাকর্মী পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ও দেখিয়েছিল। এই সব কারণেই মনমরা হয়ে বাড়ি ফেরে, তারপর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে সে। তার জেরেই ওই দিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই ছাত্রীকে চুরির বিষয় নিয়ে কোন কথাই বলা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad