টনসিলের ব্যথা সারানোর উপায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 2 August 2019

টনসিলের ব্যথা সারানোর উপায়



অনেক সময় আমাদের গলার ভিতরে এতটাই ব্যথা করে যে ঢোক গিলতে গেলেও খুব কষ্ট হয়! গলায় এই ধরনের ব্যথা সাধারণত টনসিলে সংক্রমণের জন্য হয়ে থাকে। জিভের পিছনে গলার ভিতরের দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায়, সেটাই হল টনসিল। এটি মাংসপিণ্ডের মতো দেখতে এক ধরণের টিস্যু বা কোষ। টনসিলের এই সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক টনসিলে ব্যথা হলে তা নিরাময় করার উপায় কী কী...




গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম বেশি আমরা সবাই করে থাকি তা হল, সামান্য উষ্ণ নুন জল দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করা। এটি টনসিলের সংক্রামণ রোধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ নুন জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের আশঙ্কাও কমে যায় অনেকটাই। এক কাপ গ্রিন টির সঙ্গে ১ চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ বার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা খেতে থাকুন। গ্রিন টি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ কাপ এই ভাবে মধু-চা খেতে পারলে উপকৃত হবেন।




এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। ছাগলের দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যায়টিক উপাদান রয়েছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধেও হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। হলুদের অ্যান্টি ব্যায়টিক, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি ইনফ্লামমেটরি উপাদান গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রামণ থেকে রেহাই পেতে করতে সাহায্য করে।





দেড় কাপ জলে ১ চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা পাতা দিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই চা খেয়ে দেখুন। আদায় থাকা অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রামণ ছাড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী। ২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ জলে ১ চামচ পাতি লেবুর রস, ১ চামচ মধু আর আধা চামচ নুন ভাল করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলা ব্যথা ভাল না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি খেয়ে যান। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।





কে

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad