বকুলের গুণ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 1 August 2019

বকুলের গুণ




বকুল ফুল গাছের ঔষধিগুণ সম্পর্কে আমাদের খুব একটা ধারণা নেই। এ গাছের মূলের ছাল, ফল, ফুল ও বীজ নানান রোগে কাজে লাগে। মূত্রকৃচ্ছ্র বা শিথিলতায় ১০ গ্রাম পরিমাণ বকুল ছাল থেঁতো করে চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করে দুই কাপ পরিমাণ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে দৈনিক তিনবার খেলে অসুবিধা দূর হবে। অজীর্ণজনিত কারণে শুক্রতারল্য হলে পাকা ফলের এক চামচ পরিমাণ সিরাপ প্রত্যহ খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে ১৫-২০ দিন খেলে অপুষ্টিজনিত তারল্য সেরে যাবে।


   সিরাপ প্রস্তুতের নিয়ম :পাকা ফল ৫০০ গ্রাম চটকে বীজ ও খোসা বাদ দিয়ে ২৫০ গ্রাম পরিমাণ মধু মিশিয়ে তিন দিন রাখার পর পাতলা ন্যাকড়ায় ঝুলিয়ে রাখার পর ফোঁটায় ফোঁটায় যে নির্যাসটুকু পাওয়া যাবে, তা-ই সিরাপ। অকালে দাঁত নড়লে ২০-২৫ গ্রাম পরিমাণ বকুল ছাল চার কাপ পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ করে দুই কাপ পরিমাণ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। আগে ২-৩ চিমটি পরিমাণ পিপুল চূর্ণ ১০-১৫ ফোঁটা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে দিতে হবে। তারপর প্রস্তুতকৃত ছালের নির্যাস ৭-৮ মিনিট করে মুখে রাখতে হবে।



 মাথায় যন্ত্রণা হলে বকুল ফুলের চূর্ণের আট ভাগের এক ভাগ পরিমাণ ফিটকিরির গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে। যাদের সর্দি পেকে মাথায় যন্ত্রণা হয়, তাদের জন্য এই নস্যি খুবই কার্যকর। এসব ছাড়াও নাসা জ্বর, শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতা ও পুরনো আমাশয় রোগে বকুল নানাভাবে ব্যবহূত হয়।   বকুল  মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ গাছ। বাকল ধূসর ও অমসৃণ। অসংখ্য পাতার ঠাসবুননিতে ভরা এমন ছায়াঘন গাছ খুব বেশি নেই। পাতার রঙ কালচে সবুজ, ফাল্কগ্দুন মাস নতুন পাতা গজানোর সময়। মলিন-সাদা রঙের এই ফুল আকারে বেশ ছোট। অনেকটা বোতাম আকৃতির। চারপাশ তীক্ষষ্টভাবে কাটা কাটা। 


প্রায় প্রতি মুহূর্তেই গাছতলায় টুপটাপ ঝরে পড়তে থাকে ফুল। ফুলের সুগন্ধ বাতাসে ভেসে ভেসে অনেকদূর অবধি ছড়িয়ে পড়ে। ফুলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- শুকিয়ে যাওয়ার পরও গন্ধ থেকে যায়। এ কারণেই কেউ কেউ অনেক দিন এই ফুল রেখে দেন। বকুলের প্রস্টম্ফুটনকালও অনেক দীর্ঘ- গ্রীষ্ফ্ম থেকে হেমন্তকাল অবধি বিস্তৃত। একই সময়ের মধ্যে ফলও আসে। ফল অনেকটা ডিম্বাকৃতির, আকার-আয়তনে কুলের মতোই। পাকা ফলের রঙ হলদেটে। বীজতেল জ্বালানি ও ছবি আঁকার উপকরণ হিসেবে ব্যবহূত হয়।


কে

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad