প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায়ে মমি এবং পিরামিড দঠন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 1 August 2019

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায়ে মমি এবং পিরামিড দঠন

1


পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় মহাদেশের নাম আফ্রিকা। এই আফ্রিকাতেই এমন একটি দেশ আছে যেখানে রচিত হয়েছিলো অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা। মিশরীয় সভ্যতা।তাদের বিভিন্ন সভ্যতা, সংস্কৃতির মধ্যে একটি হল পিরামিড ও মমির ধারনা।  পিরামিড তৈরির অনেক আগেই মমি বানানো শিখেছিলো মিশরীয়রা। মৃতদেহ যাতে না পচে যায় সে কারণে মিশরের চিকিতসক ও বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বেরিয়ে এল নতুন পদ্ধতি।  মৃতদেহের পচন ঠেকানোর জন্য শরীরের পচনশীল অংশ সরিয়ে ফেলতে হতো।


 প্রথমে মাথার খুলি অপারেশন করে ভেতর থেকে মগজ বের করে আনা হতাে। একইভাবে পেট কেটে বের করা হতাে নাড়িভুড়ি। সব পচনশীল অংশ সরিয়ে বাকি থাকতো হাড়, মাংস আর চামড়া পেঁচানাে দেহ। এর ভেতরে ভরে দেওয়া হতাে কাঠের গুঁড়াে বা পাতলা কাপড়। এরপরে মৃতদেহটি এক ধরণের তরল ওষুধে ভিজিয়ে রাখা হতো। গাছগাছড়া দিয়ে তৈরি মলম শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হতো। পাতলা, নরম একগাদা কাপড় দিয়ে খুব সাবধানে মৃতদেহের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পেঁচানো হতো। এই কাপড়ও এক ধরণের তরলে ভিজিয়ে নেওয়া হতো। এতে করে মমিটি জমে শক্ত হয়ে যেত।  এভাবে মমি বানানোর পরে কবর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।


মমি এবং এর সাথে থাকা অর্থ-অলঙ্কারের সুরক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয় পিরামিড।  মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিডটি রাজা খুফুর। এর উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে চারশ ফুট। পাথরের পর পাথর বসিয়ে বানানো হতো পিরামিড।  পিরামিডের ভেতর অনেকগুলো ঘর বানানো হতো। একটিতে থাকতো ফারাওয়ের কফিন। পাশের ঘর রানির কুঠুরি । রানি মারা গেলে এখানেই কবর দেওয়া হতাে। অন্য ঘরগুলােতে দাসদাসীদের কবর দেওয়া হতাে। ফারাওয়ের ঘরের সামনে থাকত স্টেডিয়ামের মতাে গ্যালারি। ধারণা করা হতো, পরজগতে প্রজারা ফারাওয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে এখানে বসবে।



পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad