আমাদের শারীরিক সমস্যা একেবারে মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে আমরা অবহেলাই করতে থাকি। মাথাব্যথা হচ্ছে প্রচন্ড, আমরা ডাক্তার না দেখিয়েই নিজের মতো করে একটি ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে ফেলি। একেবারেই পাত্তা দিই না ছোটোখাটো অনেক ব্যথা। কিন্তু এই অবহেলার কারণে হয়তো রোগটি ধীরে ধীরে শরীরের অনেক বেশি ক্ষতি করছে, তাই কিছু ধরণের শারীরিক ব্যথা অবহেলা না করাই ভালো। কারণ অবহেলার কারণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি।
বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের ভিন্ন মতামত দেখা যায়। অনেকে ভাবেন গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে। আবার অনেকের মতে বুকে পিঠে ভারী কিছু চেপে বসে থাকার সমস্যা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হয়। হ্যাঁ, বিষয়গুলো সত্যি, কিন্তু যদি বুকে ব্যথার সাথে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, ছোটো ছোটো শ্বাস নেয়া এবং অনেকটা সময় বুকে ব্যথা দূর না হওয়ার বিষয়টি অবহেলা করবেন না। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
অতিরিক্ত মাথাব্যথা অনেকেই ভাবেন ঘুম কম হওয়া, রোদে ঘোরা এবং মাইগ্রেনের কারণেই মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু খুব হুট করে অস্বাভাবিক মাথাব্যথা হতে পারে অ্যানিউরিজমের লক্ষণ যা স্ট্রোকের কারণে হয়। এছাড়াও সকালের ঘুম থেকে উঠার পর মাথাব্যথা শুরু হওয়া ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ। সুতরাং সাবধান থাকুন, সতর্ক থাকুন।
তলপেটে ব্যথা ও গ্যাস হওয়া যদি প্রায় ২-৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে তলপেটে ব্যথা এবং সেই সাথে পেটে গ্যাস হওয়া, খাবার খেতে না পারার সমস্যা থাকে তাহলে সাবধান হয়ে যান। ২০০৭ সালে দ্য গাইনোকোলজিক ক্যান্সার ফাউন্ডেশন তাদের গবেষণায় প্রকাশ করেন এই ধরণের ব্যথা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।
তলপেটের ডান দিকে ব্যথা এবং জ্বর ও বমি ভাব যদি অনেকটা সময় ধরে তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা হতে থাকে এবং সেই সাথে জ্বর ও বমি ভাব হয় তাহলে এটি হতে পারে এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা। এবং মহিলাদের জন্য এটি আরও খারাপ ধরণের কিছু হতে পারে। কারণ এই ধরণের লক্ষণ ওভারিয়ান ক্যান্সারের হয়ে থাকে। পিঠের মাঝখানে ব্যথা পিঠের মাঝখানে ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তিকে একেবারেইই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এগুলো হতে পারে কিডনি সমস্যার লক্ষণ।
কে
No comments:
Post a Comment