আজকাল আমরা অনেকেই পৌরানিক কাহিনী পড়িনা এমনকি পৌরানিক রিতি-নীতি সম্পর্কেও কিছু জানি না। এরকমই আমরা অনেকেই প্রাচীন ভারতের প্রেম বা যৌনতা নিয়েও কিছু জানি না। চুলন জানি আজগে আমরা সেরকমই কিছু প্রাচীন রিতি-নীতির কথা। প্রাচীন যুগে প্রেমিক প্রেমিকারা এখনকার মত ছিলনা, এমনকি তাদের প্রস্তাব দেবার ধরনও ছিল আলাদা। তখনকার দিনে টুকরো কাগজে মেয়েদের নাম লিখে একটি বাটিতে রেখে দিত। তারপর সেখান থেকে বাছাই করা হত কে হবে তাদের প্রেমিকা। আর সেই নামের কাগজের টুকরো গোটা সপ্তাহ ধরে তাদের জামায় লাগিয়ে ঘুরতে হত।
আবার মহাভারতের একটি অধ্যায়ে খোলামেলাই অবিবাহিত ঋষি পরাশর ও জেলেকন্যা সত্যবতীর যৌনতার কথা আলোচনা করা হয়েছে।এইরকমই আবার বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত আছে মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের অবাধ যৌনতার কথা। তিনি নাকি জনসমক্ষেই যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বেশি পছন্দ করতেন। সবাই রাজার এই যৌনকর্ম রাস্তায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করতেন। আর রাজাও তাতে নাকি বেশি তৃপ্ত হতেন।
এইরকমই প্রাচীন ভারতে ছিল যৌনতায় পূর্ণ কিছু খেলাধূলাও।এমন একটি খেলা হল ‘ঘাটকাঞ্চুকি’। এই খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে একে অপরের সঙ্গে যৌনমিলন করতে হতো। যতক্ষণ না প্রত্যেকের যৌনক্রিয়া সম্পন্ন হতো, খেলা থামতো না। এটাই ছিল সেই খেলার নিয়ম। এরচেয়েও অদ্ভুত হল, যৌনতার কথাও আছে ভারতের প্রাচীন পুঁথিতে। সেখানে বাবা-মেয়ের যৌনতার কথা বর্নিত আছে। ঋষি বশিষ্ঠ তার কন্যা শতরূপার সঙ্গে নাকি যৌনকর্ম করেছিলেন। অবশ্য যদিও তা ইচ্ছাকৃতভাবে নয়। বাবাকে স্বামী বলে ভুল করেই নাকি ঘটিয়েছিলেন এই কান্ড!
ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ মনুতে নারদের জন্মের এক অদ্ভুত কাহিনী আছে।সেই কাহিনী অনুসারে নারদের দিদিমাই নাকি তার স্বামীর সঙ্গে কন্যার সহবাস করিয়েছিলেন। আর যার ফলে নারদের জন্ম।মহাভারতে বর্ণিত আছে, কোনও অবিবাহিত নারী যদি যৌনমিলনের কামনা করেন, তবে কোনও পুরুষকে তার কামনা পূরণ করতেই হবে। তা না হলে সেই পুরুষকে ধর্মচ্যুত হতে হত। আবার এই মহাভারতেই আছে পরকীয়ার বর্ণনা। মণিপুরের বিধবা নাগকন্যা উলুপি অর্জুনকে বলেন, কোনও পরস্ত্রীর সঙ্গে রাত কাটানো অধর্ম নয়।
এছাড়া প্রাচীন ভারতের যৌনতার জন্য শিশু ও নারীদের বেচাকেনার কথাও উল্লেখ আছে। মহাভারতে অঙ্গরাজ্যে কর্ণের শাসনকালে শিশু ও নারীদের কীভাবে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হতো। ঋগ্বেদে আছে ভাইবোনের যৌনতার কথা। সেখানে একটি অধ্যায়ে যমের সঙ্গে যৌনতায় মগ্ন হতে চাইছেন তার বোন যমী। যম অস্বীকার করায়, যমী বলেছিলেন যে ভাই বোনের সামান্য ইচ্ছে পূরণ করতে পারে না।সে ভাই ভাই-ই নয়।এই রকমই আরও অনেক অনেক কাহিনী বর্ণিত আছে প্রাচীন যুগে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment