একটি জাহাজ যার কোনও চালক নেই, কোনও যাত্রী নেই, মালপত্র কিছুই নেই তবুও সে এগিয়ে চলেছে সমুদ্রের তীর বেয়ে। এমনই একটি জাহাজকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মায়ানমারের দক্ষিণ উপকূলের মৎসজীবীরা। খবর দেন স্থানীয় পুলিশকে। জাহাজটির নাম ‘স্যাম রাটুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’। ইয়াঙ্গনের থঙ্গগোয়া শহরের তীরে এসে জাহাজটি বালির উপর উঠে যায়। পুলিশ এসে জাহাজটির উপর নজরদারি শুরু করে। কেউই যখন জাহাজ থেকে নেমে আসছেন না, তখন তার ভিতরে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।
স্থানীয় সাংসদ ইউ নে উইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সত্যিই কোনও লোক, কোনও চালক বা মালপত্র ছিল না এই জাহাজটিতে। কী ভাবে এতবড় জাহাজ মায়ানমারের তীরে এসে ভিড়ল, তা ধাঁধার মতো লাগছে পরে মায়ানমারের নৌসেনা তদন্ত শুরু করে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, এই জাহাজটি আসলে বাংলাদেশ যাচ্ছিল। এটি শেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে, তাইওয়ানে। জাহাজটির সামনে দু’টি তার দেখেই তাদের সন্দেহ হয়। এমন তার লাগিয়েই জাহাজ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি এই জাহাজটিকে টেনেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাহলে যে বোট এটি টানছিল সেটি গেল কোথায়? জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁস হয় আসল রহস্য।
তারা জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে এই পরিত্যক্ত জাহাজটিকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানেই জাহাজটি ভাঙার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য বোটটির থেকে জাহাজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন পরিত্যক্ত জাহাজটিকে তারা ছেড়ে দেয়। সমুদ্রের ঢেউয়েই জাহাজটি ভেসে ভেসে মায়ানমারের তীরে পৌঁছে যায় বলেই দাবি বোটটির চালকের। নৌসেনা এই দাবি আপাতত মেনে নিলেও, এখনও তদন্ত চলছে ।
পি-ব
No comments:
Post a Comment