সীমান্তে গরু নিয়ে বেজায় সমস্যায় বি এস এফ, গো রক্ষকের হদিস দিলেন জ্যোতিপ্রিয় । সীমান্ত এলাকাতে যেভাবে গরু পাচার দিনে দিনে বেড়ে গিয়ে তা নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বি এস এফ। আর সেই কারণেই এবার একেবারে সাংবাদিক বৈঠক করে বি এস এফের আইজি গো রক্ষক খোঁজার জন্য আবেদন করলেন। আর তাতেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, "গো রক্ষক তো বিজেপির নেতৃত্বের মধ্যেই আছে। রাজ্যের দায়িত্বে পড়ে না বি এস এফের ধরা পড়া গরু নিয়ে তাদের রক্ষা করা। সেই কারণে বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা এবং মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসা করলেই গো রক্ষকের হদিস পাওয়া যাবে।"
মূলত বুধবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বি এস এফের দক্ষিন বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আই জি ওয়াই বি খুরানিয়া দাবি করেন, "গত তিন বছরে গরু পাচার আটকানো কার্যত আমাদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই আমরা ১৯ হাজার গরু উদ্ধার করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে ওই গরুগুলিকে রাখার মতন পরিকাঠামো নেই। সেই কারণেই আমরা আদালতের নির্দেশ মতন সেই বাজেয়াপ্ত করা গরুগুলিকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দিয়ে দিতাম। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে আমরা সেই সাহায্য পাচ্ছি না। সেই কারণেই আমরা বেশী করে প্রশাসন ও এন জি ও দের কাছে আবেদন করছি যাতে এই ১৯ হাজার গরুগুলিকে তারা পরিকাঠামোগত সাহায্য করে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।" মূলত যোগির রাজ্যে যে ভাবে গো রক্ষকদের প্রবল উদ্দিপনা দেখা যায় এরাজ্যে তা দেখা যায়নি। যে কারণেই এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কার্যত কটাক্ষ করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিজেপির তিন নেতৃত্বকে এক হাত নিয়েছেন। তারসঙ্গেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, "আমাদের কাজ নয় ওই গরু রক্ষা করা।"
আর এখানেই এবারে বিপদের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বি এস এফের কর্মিরা। কারণ পরিকাঠামোর অভাবের কারণে বহু পরিমাণে গরু মারা যাচ্ছে অনাহারে। তারসঙ্গেই এদিন বি এস এফের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে এই পাচারকারিরা নৃসংশভাবে ওই গরুগুলির উপর অত্যাচার করত। এমনকি তাদের স্বররূদ্ধ করতে ইনজেক্সনও দেওয়া হত। এই রকমভাবে অত্যাচারের হাত থেকে গরুকে বাঁচাতেই এগিয়ে যায় বি এস এফ। তারসঙ্গেই এই গরু পাচারের মধ্য দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে লোক প্রবেসের সম্ভবনা বেড়ে যাচ্ছিল তাকে রুখতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি করা হয়েছে বি এস এফের পক্ষ থেকে।
কিন্তু গোটা বিষয়টিকে নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছে। কারণে এই গরু নিয়ে বিজেপি হিন্দুত্ববাদীর রাজনীতি করছে তা ইতিপূর্বেই বহুবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। সেখানে পাচার হয়ে আসা গরুর দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে বিজেপির গো রক্ষকদের দিকে ঢিল ছোড়াটাই ছিল স্বাভাবিক।
No comments:
Post a Comment