নির্মলের সুরের আলোয় আলোকিত ভাঙড়

ভাঙ্গড়ের ছেলে বেতার শিল্পী। শিক্ষা ও ক্রিড়ার সাথে সাংস্কৃতি বিভাগ ভাঙ্গড়ের নাম  উজ্জ্বল করলো ভাঙ্গড়ের ছেলে নির্মল ঘোষ। পেশায় গায়ক। ৭বছর বয়সে গানের জগতে আসা। লোকগীতি বাউল ঝুমুর টুসু ভাটিয়ালি রবীন্দ্র সংগীত নজরুল গীতি  গান শেখা গুরু কাছে।২০১৮ সালে নির্মল ঘোষের ভাগ্যের চাবিকাঠি খুলে গেল। ভাঙড়  ২ ব্লকে সরকারি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক বিভাগের গানের প্রতিযোগিতায় নাম লেখান।

৭০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন নির্মল ঘোষ। এরপর জেলা সংস্কৃতি দপ্তরে
সাংস্কৃতিক বিভাগের অনুষ্ঠানে লোকগীতি ভাটিয়ালি বাউল টুসু গানের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন।
রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সার্টিফিকেট অর্জন করেন। এরপর তার পথ চলা শুরু কেলসি থানার অন্তর্গত বামন ঘাটায় গানের স্কুল গড়ে তোলেন। একশর কাছাকাছি ছাত্র ছাত্রী তার এখন। লক্ষ্য ছিল সরকারি টিভি চ্যানেল অথবা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গান গাওয়া পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া রেডিও সেন্টারের বেতার শিল্পী হয়ে গান গাইবেন।

যেমন ভাবনা তেমন তেমন কাজ। বহু পরিশ্রম করে তিনি আজ বেতার শিল্পী হয়েছেন
অল ইন্ডিয়া রেডিও সেন্টারের। এই শুভ সংবাদ দিতে ভাঙ্গড় ২ ব্লক প্রশাসন দপ্তরে ছুটে এসেছিলেন নির্মল ঘোষ । তাকে বেতার শিল্পী হয়ে কাজে নিযুক্ত হবার নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন।
সেই খবর জানাতে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্মল বাবু বলেন ছোটবেলা থেকেই গান-বাজনার প্রতি আমার ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছিল বাবা-মা দাদারা আমাকে গান বাজনা করার পথ দেখিয়েছিল। আমাদের পরিবার দরিদ্র সীমারনিচে বলে সঠিক গুরু পাইনি। যাকে পেয়েছিলাম তাকে আঁকড়ে ধরে গান-বাজনা শিখতে শুরু করলাম। ভাঙড় ২ ব্লকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সরকারি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক বিভাগের গান প্রতিযোগিতায় আমি নাম লেখাই। বিচারকরা আমার গলার কন্ঠ শুনে আমাকে চ্যাম্পিয়ন করেন ৬০ থেকে ৭০ প্রতিযোগীর মধ্যে। সেদিন আমি ভাঙ্গড় ২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পূত কর্মদক্ষ ওইদুল ইসলামের চোখে পড়ে যাই।
উনি আমার সাথে কথা বলেন আমার পরিবারের কথা শোনেন এরপর উনি বলেন তোমাকে ব্লক প্রশাসন থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে যাতে তুমি গান বাজনা চালিয়ে যেতে পারো পাশাপাশি কোন বাদ্যযন্ত্র কেনার থাকলে আমাকে বলবে আমি কিনে দেবো।
আজ আমার এই সাফল্যের পিছনে অহিদুল ইসলাম আরাবুল ইসলাম নান্নুর হোসেন ও অন্যান্য নেতাদের সহযোগিতা আছে। আজ আমার ভালো লাগছে আমি অল ইন্ডিয়া রেডিও সেন্টারের বেতার শিল্পী হতে পেরেছি। আমি চাই ভাঙ্গরের বুকে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীরা তারা বেরিয়ে আসুক শিক্ষায় হোক খেলাধুলায় এমনকি সাংস্কৃতিক বিভাগে হোক। আমরা তাদের পাশে আছি ও থাকবো। ভাঙড় ২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল বলেন নির্মল আমাদের ভাঙড়ের গৌরব। এত বড় সাফল্য আসবে ওর জীবনে অল ইন্ডিয়া রেডিও সেন্টারের বেতার শিল্পী হয়ে কাজে যুক্ত হবার জন্য এটা ভেবেই অবাক হয়ে যাই। নির্মল গান বাজনা যে দক্ষতা অর্জন করেছে তা আর বলার জায়গা রাখে না বলার জায়গা রাখে না। স্বয়ং মা সরস্বতী ওর গলার কন্ঠ আছে বলেই আজও সাংস্কৃতিক এ নিজের নাম যেমন উজ্জ্বল করেছে তেমন ভাঙ্গড়ের সুনাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কৌশিক মাইতি বলেন গুণী শিল্পীর গুন গুণী শিল্পী চেনেন ‌। নির্মল ঘোষ ভাঙড়ের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাই সে নিজে ছুটে এসে সে বেতার শিল্পী হয়েছে এই খবরটা জানাতে।