মালদা- দাঁড়িয়ে থাকা বরযাত্রী সাফারি গাড়ির পেছনে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় নয়ানজুলিতে সাফারি উল্টে মৃত্যু হল ৬ জনের। গুরুতর জখম হলো আরও প্রায় ১২জন। তাদের মধ্যে চার জন মহিলা ও দুই জন শিশু রয়েছে। বুধবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা বর্তমানে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক আবস্থায় দুই জনকে কলকাতা রেফার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতেরা হল তপন মন্ডল(২৫)বাড়ি কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ, বাপন ঘোষ(২০),সুবোধ ঘোষ(৫০) দুই জনের বাড়ি কালিয়াচকের ভবানীপুর,শেখর ঘোষ(২৮) ধনঞ্জয় মন্ডল ( 32 )বাড়ি গোলাপগঞ্জের চরিঅনন্তপুর ও গাড়ি চালক সালোয়ার শেখ(৩৫) বাড়ি কালিয়াচক থানার বৈষ্ণবনগর গ্রামে। আশঙ্কাজনক আবস্থায় ধনঞ্জয় ঘোষ সহ আরো একজনকে কলকাতা রেফার করা হয়েছে। বাকীরা মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে কালিয়াচকের ভবানীপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ঘোষের ছেলে বিশ্বজিতের বিয়ে ছিল এদিন। গাজোল থানার আলমপুরে ধীরেন ঘোষের মেয়ের সাথে। প্রায় সাতটি ছোট গাড়ি করে বরযাত্রী যাচ্ছিল আত্মীয় স্বজনেরা। আনেকটা এগিয়ে যাওয়ায় পথে কালিয়াচকর সুজাপুরে একটি গাড়ি দাঁড়ায় পেছনের গাড়ি আসার অপেক্ষায়। ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়িটি। হঠাৎ পেছন থেকে একটি লড়ি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা সাফারি গাড়িটিকে। নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার শুরু করে। জখমদের মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকীরা চিকিৎসাধীন।

No comments:
Post a Comment