সোমবার ভারতীয় শিখ পূণ্যার্থীদের জন্য খুলে গেল পাক পঞ্জাব প্রদেশে শিয়ালকোটের ৫০০ বছরের পুরনো গুরদ্বোয়ারা৷ শিয়ালকোট শহরের ‘বাবে-দে-বের’ গুরুদোয়ারাতে অবশ্য ভারতীয়দের প্রবেশের অনুমতি নেই৷ পঞ্জাব গভর্ণর মহম্মদ সারওয়ার প্রদেশের অওকাফ বিভাগকে নির্দেশ দেয় তালিকায় ভারতীয় শিখ পূণ্যার্থীদের নাম যেন রাখা হয়, যাতে তারা শিয়ালকোট গুরুদোয়ারায় প্রহবেশ করতে পারে৷ প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় শিখ পূণ্যার্থীরা গুরু নানকের জন্ম এবং প্রয়াণবার্ষিকীতে পাকিস্তানে যান৷ শিখ পরম্পরা অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে যখন গুরু নানক শিয়ালকোটে উপস্থিত হয়েছিলেন, তিনি বেরি গাছের নীচে থাকতেন৷
সর্দার নাথা সিং তখন সেখানে একটি গুরুদোয়ারা নির্মাণ করে দেন৷ প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গুরু নানকের জন্মের ৫৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে করতারপুর করিডর গড়ায় সায় দিয়েছে মোদী সরকার। পঞ্জাব থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এই করিডর। সীমান্তের ওপারে একই ধরনের করিডর গড়বে পাকিস্তান। এর জেরে উপকৃত হবেন পুণ্যার্থীরা। পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের করতারপুর গুরুদ্বারে গুরু নানকের সমাধিস্থলে পৌঁছতে সমস্যায় পড়বেন না তাঁরা। সম্প্রতি, কর্তারপুর করিডোর নিয়ে আলোচনার জন্য ১১-১৪ জুলাই নতুন দিনক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে৷ ধর্মীয় করিডর নিয়ে গত ২ এপ্রিল ওয়াঘা সীমান্তে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। কিন্তু পাক প্রতিনিধিদলে দুই খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীর নাম থাকায় আপত্তি জানায় ভারত।
এই বিষয়ে পাকিস্তান তাদের বক্তব্য না জানানো পর্যন্ত বৈঠক স্থগিত রাখা হবে বলে জানানো হয়৷ কর্তারপুর করিডর নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সে সময় ১০ সদস্যের একটি কমিটির ঘোষণা করেছিলেন পাক তথ্য বিভাগের মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন। এই কমিটিতে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গোপাল সিংহ চাওলা ও মণীন্দ্র সিংহ তারার নামও ছিল। গোপাল সিংহ চাওলার সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে জানানো হয়েছিল, এই করিডোর নিয়ে ভারতের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান এবং কিছু শর্ত আরোপ করেছিল৷ পাকিস্তানের বক্তব্য ছিল, পূণ্যার্থীরা বিশেষ অনুমতিতেই কর্তারপুরে যাত্রা করতে পারবেন৷ ভারতের প্রস্তাব ছিল, ভারতীয় নাগরিক ছাড়া ওভারসিজ ইন্ডিয়ান কার্ড যাদের রয়েছে তাদেরও এই কর্তারপুর যাত্রার অনুমতি দেওয়া হোক৷ কিন্তু পাকিস্তান ভারতীয় নাগরিকদের ছাড়া অন্যদের অনুমতি দিতে নারাজ৷
পি/ব
No comments:
Post a Comment