শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে চলে যাওয়া ঠেকাতে রবিবার তাঁর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে নিজের দূত পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ তৃণমূলের একাংশের দাবি, ঘণ্টাখানেকের ওই আলোচনায় খানিকটা বরফ গলেছে৷ মেয়র-মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর দলেও নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন শোভন৷ তার কয়েক মাস পর থেকেই শোভনের বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সে জল্পনা আরও বেড়েছে। শোভনকে দলে পাওয়ার জন্য তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বিজেপি নেতৃত্ব যোগাযোগ রাখছে বলে খবর। দিদির কানেও সেকথা পৌঁছেছে৷
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ১১.৫০ নাগাদ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের বলে পরিচিত রতন চট্টোপাধ্যায়। দলের ফের সক্রিয় হওয়ার জন্য তিনি এদিন শোভনকে অনেক বুঝিয়েছেন৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভোটের ফল বেরনোর পর ফোন করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই সময় শোভন সেরকম সাড়া দেননি বলে জানা যায়। এরপর শোভনের মান ভাঙানোর জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নামানো হয়। তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে খবর।
শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে তৃণমূলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন, সেজন্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুরোধ করেছেন বলে বৈশাখী সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজে দাবি করেছেন।শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কিনা সেব্যাপারে বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়’৷ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার তৃণমূল ভবনে বেহালার ১৯ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে শোভনের জেতা ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা৷এদিকে, রত্নার সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের৷তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, দলের সঙ্গে শোভনের দূরত্বের অন্যতম বড় কারণ দিদির কাছে রত্নার এত গুরুত্ব পাওয়া৷
পি/ব
No comments:
Post a Comment