সুশীলকুমার শিন্ডে এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয় সিদ্ধেশ্বর শিবাচার্জ স্বামীর কাছে পরাজিত হওয়ার পরে ধরেই নেওয়া যায় যে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের এবারে ইতি। সাতাত্তর বছর বয়সী শিন্ডে নিজেও বলেছিলেন যে এবারের নির্বাচনই তাঁর শেষ। সত্তরের দশকে একাধিকবার বিধায়ক এবং দু'বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া শিন্ডে ইউপিএ ২ সরকারে উচ্চ পদে থাকলেও ২০১৪-র নির্বাচনে তাঁর পরাজয় ঘটে। এবারেও তাঁর পুনরাবৃত্তি ঘটে। যদিও ধরা হয়েছিল যে এবারে তাঁর পুরোনো গড় সোলাপুর থেকে তিনি ফের জিতে আসতে পারবেন।
কিন্তু ঠিক যখন বলা হচ্ছিল যে শিন্ডের রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রায় শেষ, তখনও ফিনিক্স পাখির মতোই তাঁর উত্থান ঘটল। কংগ্রেসের অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধী যখন এবারের বিশ্রী হারের পরে কংগ্রেসের নেতৃত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তখন শিন্ডেকেই পরবর্তী কংগ্রেস অধ্যক্ষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস, বা আরও গুছিয়ে বললে গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, প্রায় আশি ছুঁই-ছুঁই শিন্ডে প্রায় বনবাসে চলে যাওয়ার পরেও কামব্যাক করতে চলেছেন দলের সর্বোচ্চ পদে। যদিও বলা হচ্ছে যে আনুষ্ঠানিকভাবে শিন্ডের অভিষেকের ঘোষণা এখুনিই হচ্ছে না কারণ গণ পদত্যাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস জর্জরিত।
তবে রাহুল গান্ধী নিজে এই নতুন অধ্যক্ষ চয়নের ব্যাপারে না থাকলেও সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাধরার মতামত যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শিন্ডেকে নেতা করা হচ্ছে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের কথা ভেবে? শিন্ডের চয়ন নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কোনও কোনও পর্যবেক্ষক বলছেন শিন্ডে যেহেতু মহারাষ্ট্রের বড় দলিত নেতা তাই তাঁকেই নেতা বাছা হয়েছে। অন্যান্যদের মতে, রাজ্যের আরেকটি বড় দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি-র নেতৃত্বের সঙ্গে শিন্ডের সম্পর্ক ভালো তাই তাঁদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করতে শিন্ডেই সবচেয়ে যোগ্য লোক। আর কংগ্রেস এই সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে এই বছরের পরের দিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভেবে। সাতাত্তর বছরের প্রায় ভুলে যাওয়া নেতা লড়বেন মোদীর বিরুদ্ধে? এখানেই প্রশ্ন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment