দিঘায় বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান-ঘর বন্টনে কাটমানি নেওয়া তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে সোচ্চার হল বিজেপি, বিক্ষোভেও নামে তারা৷ নিউ দিঘার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা একত্রিত হন৷ কাটমানি ফেরত থেকে একাধিক অভিযোগ নিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে৷ এই বিক্ষোভ মিছিলে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য দিঘায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী, কমব্যাট ফোর্স, সিভিক ভলান্টিয়ারদের৷ বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকের কাছে একটি স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয়।দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সুজন দত্ত সমস্ত দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
রামনগর-১ ব্লক বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি অনির্বাণ চন্দ বলেন, “দিঘায় দোকান ঘর বন্টনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পর্ষদের আধিকারিক-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এক এক জনের কাছে চার-পাঁচ লক্ষ টাকা কাটমাণি নিয়েছেন।আবার বেশ কিছু তৃণমূলের নেতারা দশ, বারোটা করে দোকান ঘর নিয়ে রেখেছে।অবিলম্বে তা ফেরত দিতে হবে।” তাঁর অভিযোগ, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সুজন দত্ত-সহ স্থানীয় এলাকার বেশকিছু তৃণমূল নেতারা তাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন প্রভূত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, যা এলাকার মানুষেরা সবই জানেন। অবিলম্বে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকের (সুজন দত্ত) প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সুজন দত্তের দাবি, “আমি কারও থেকে টাকা নিয়েছি ওঁরা প্রমাণ করুক। এসব মিথ্যে অভিযোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।” রামনগর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন, “বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি তাদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দিকে দিকে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে।” জেলা বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান বলেন, ” তৃণমূলের দূর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এতদিন কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি, বিজেপি এখন সেই প্রতিবাদের পরিবেশটা তৈরি করেছে। যেভাবে দিকে দিকে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তৃণমূল নেতাদের বাঁচার আর কোন রাস্তা নেই।”
পি/ব
No comments:
Post a Comment