আজ মাশরাফির জন্য খেলবে টিম বাংলাদেশ

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন-‘এই বিশ্বকাপই আমার শেষ বিশ্বকাপ’। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেই এমন ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন। ক্যাপ্টেনের বিদায়ী ম্যাচটা যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে সেজন্য জয়ের ক্ষুধা নিয়ে মাঠে নামছে টাইগাররা। তার জন্যই আজ খেলবে টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভ্রমরা মাশরাফি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাক বদলের মহানায়কও বলা হয়ে থাকে তাকে। তার নেতৃত্বেই গত কয়েক বছরে ভরডরহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র কাজে লাগাচ্ছে টাইগাররা। তার নেতৃত্বেই ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।


বহুজাতির টুর্নামেন্টও জিতেছে মাশরাফির ক্যারিশমায়। বিশ্বকাপে এটি মাশরাফির শেষ ম্যাচ হলেও আরও কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন মাশরাফি। কদিন আগে সে কথাই বলছিলেন। বিশ্বকাপের পরও আরও কয়েকটা টুর্নামেন্ট খেলার ইচ্ছা ছিল। এখনও পর্যন্ত মাশরাফির সেই চিন্তায় বদল আসার কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে শঙ্কা তৈরি হয়েছে গত দুতিন ধরে তার বিষণ্ণতা ও নীরবতায়। মিডিয়া বান্ধব মাশরাফি ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও তাকে দেখা যায়নি।



কয়েক দিন ধরেই মাশরাফির ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। বিশ্বকাপে তার নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স এই গুঞ্জনকে আরও জোরালো করেছে। হ্যামস্ট্রিং আক্রান্ত মাশরাফির নেতৃত্বে দল ভালো করলেও সমালোচনার তীর যেন খেলোয়াড় মাশরাফিকে বেশি বিদ্ধ করছে। এসব মোটেও ভালোভাবে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ প্রাণভ্রমরা। আজকের ম্যাচ না খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটায় মাশরাফি খেলুক। তার নেতৃত্বে আরেকটি কীর্তি গড়ুক বাংলাদেশ।



শেষটায় ভালো করে ঘরে ফিরুক। বিশ্বকাপে মাশরাফির সাত ম্যাচে ১ উইকেট পাওয়া নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। এর সূত্র ধরে তার ওপর অবসর নেয়ার চাপও তৈরি হচ্ছে। অধিনায়কত্ব কিংবা চোটজর্জর শরীর নিয়ে তার ম্যাচ খেলার বিষয়টিও সমালোচকদের বিবেচনায় নেই। এ নিয়েই কি অভিমানাহত মাশরাফি? প্রশ্নটি উঠছে কারণ, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে তো বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলছেন তিনি। তা হলে শেষ ম্যাচে এমনকি হলো যে বিশ্রাম নিতে হবে? মাশরাফির নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।



৮৩ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। যেখানে জিতেছেন ৪৭ ম্যাচে, হেরেছেন ৩৪ ম্যাচে আর পরিত্যক্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। জয়ের হার ৫৮.০২ শতাংশ। মাশরাফি ২০১০ সাল থেকে চলতি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত ৮৩ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে জয়ের হার ৫৮.০২ শতাংশ। ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান জিতেছিল ৫৫.৯২ শতাংশ ম্যাচে, স্টিফেন ফ্লেমিং জিতিয়েছেন ৪৮ শতাংশ ম্যাচ। এখানেই কিংবদন্তিদের ছাড়িয়ে অবস্থান করছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। আর বিশ্বকাপে টাইগারদের ১২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মাশরাফি জিতেছেন ছয় ম্যাচে। জয়ের হার সেখানে ৫০ শতাংশ।



কে