পাথারকান্দিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের জেলা স্তরের পদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। পাথারকান্দি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি ডিভিশনের অধীন পাথারকান্দি-সহ রাতাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন সরকারি পানীয় জল প্রকল্পের বেহাল দশা সম্পর্কে অবগত বিধায়ক পাল। সরকারি কর্মচারীদের অবহেলার দরুন যে এই সব প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে তা-ও জানেন তিনি। বিধায়ক জানেন, এসে স্থানীয় জনগণকে বেজায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিশুদ্ধ জলের অভাবে বৃহত্তর পাথারকান্দির জনগণ নানা সময় জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সে-সব খবরও বিধায়কের কাছে আছ। অবশেষে গণ-অভিযোগের ভিত্তিতে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল তাঁর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে করিমগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে উপস্থিত হয়ে পদস্থ আধিকারিক স্বপন রায় এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এতে তিনি পাথারকান্দি-সহ গোটা করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অকেজো পিএইচই প্ল্যান্টের সাতকাহন সম্পর্কে বিভাগীয় আধিকারিকদের অবগত করান।
সেই সঙ্গে তিনি শহর ও বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে সুচারুরূপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য পিএইচই কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রবিবার এ তথ্য দিয়ে বিধায়ক জানান, তিনি পিএইচই ইঞ্জিনিয়ারদের নাকি বলেছেন, নাগরিকদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করতে সরকার কাড়ি কাড়ি টাকা বরাদ্দ করছে। কিন্তু একাংশ কর্তার খামখেয়ালিপনায় বিভিন্ন পিএইচই প্ল্যান্টের বারোটা বেজে গেছে। এখন আর এ-সব বরদাস্ত করা হবে না বলেও নাকি ইঞ্জিনিয়ারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
এর পাশাপাশি বিধায়ক সরকারের স্বল্পমূল্যের শৌচালয় নির্মাণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখেছেন। বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন পাথারকান্দি জেলা পরিষদ সদস্য শান্তিলাল সিনহা, গ্রাম পঞ্চায়েত সভানেত্রী রেণুকা সিনহা, পিঙ্কু বর্ধন, গোলাপচাঁদ কানু, অনিল তেওয়ারি, দীপঙ্কর দেব, যোগমায়া পাল, রোশনা বেগম, বর্ণালি সিনহা, নমিতা গোয়ালা, মালতি বাল্মিকদাস প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment