জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো চলতি বছর নতুন করে বেশকিছু স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত কয়েকটি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে তালিকার প্রথমেই রয়েছে বাংলাদেশের সুন্দরবন। এ কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনটি বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৩তম সম্মেলন। বৈঠক চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় এখন পর্যন্ত ১৬৭টি দেশের ১০৯২টি স্থান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে
। এসব স্থানের মধ্যে ৫৪টিকে বিভিন্ন কারণে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন ছাড়াও রয়েছে বুলগেরিয়ায় অবস্থিত প্রাচীন শহর নেসেবার, নর্থ মেসেডোনিয়া অথবা আলবেনিয়ার অকরিড অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মেপিকোতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরবর্তী দ্বীপ ও সংরক্ষিত এলাকা, নেপালের কাঠমান্ডু ভ্যালি ও ইরাকে অবস্থিত ব্যাবিলনের প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষসহ অন্যান্য স্থান। আজারবাইজানে শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা যেসব জায়গা
ঝুঁকিপূর্ণ বলে শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলো সংরক্ষণের চিত্র ঘেঁটে দেখা হবে। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুন্দরবনকে এখন বন্যপ্রাণীর জন্য বিশেষ করে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বসবাসের ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। বনটির কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া, বন উজাড়সহ পরিবেশবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনকে ইউনেস্কো বাদ দিতে পারে। তবে সুন্দরবনের সুরক্ষায় সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ থাকলে ও উন্নতি দেখা গেলে ইউনেস্কো ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম প্রত্যাহার করতে পারে। তখন কমিটির ভোটে সুন্দরবন তালিকায় ভালো অবস্থানে ফিরে আসবে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment