অনিমেষ ধর নামে এক বাঙালি বিজ্ঞানী এখন আমেরিকার ক্যানসারস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যানসার বায়োলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। অন্য দুই বাঙালি বিজ্ঞানী চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও শান্তনু পাল এবং অন্য তিন ভারতীয় বিজ্ঞানী প্রসাদ দণ্ডবতে, শ্রীকান্ত অনন্ত ও ধর্মলিঙ্গম সুব্রহ্মণ্যম গবেষণায় তাঁর সঙ্গী। ওই গবেষণায় সাহায্য করেছেন শ্রীলঙ্কার সুমেধা গুণবর্ধনে এবং আমেরিকার ক্যামেরুন ওয়েস্ট-ও। আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘অঙ্কোটার্গেট’-এ তাঁদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
অনিমেষবাবু জানান, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। সাধারণ হাল্কা মানের জন্ডিস এই ক্যানসারের প্রধান উপসর্গ। কিন্তু হাল্কা জন্ডিস হলে কেউই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে তা ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। ছড়ায় মূলত ফুসফুস আর যকৃতে। ‘‘এখন অনেক ক্ষেত্রে অন্য রোগ নির্ণয়ের সময় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে আটকে রাখার কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না,’’ বলছেন অনিমেষবাবু। তিনি জানান, তাঁরা ১৫ বছর ধরে মার্কিন মুলুকে গবেষণা চালাচ্ছেন। তাঁর ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে সাদা ইঁদুর, মানুষের কোষের উপরেও। দেখা গিয়েছে, হলুদের অন্যতম উপাদান কুরকুমিন, এক ধরনের ফুলের উপাদান হারমিন এবং এক ধরনের ওষধি গাছের উপাদান আইসোভ্যানিলিনের সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার দমন করতে পারছে।
কে
No comments:
Post a Comment