কী ঘোষণা হতেপারে এবার বাজেটে?

আধুনিক করতে হবে রেলকে। ব্যবসাকে দিতে নতুন দাওয়াই। বাড়াতে হবে কর্মসংস্থান। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে করতে বিনিয়োগ। আবার মধ্যবিত্ত থেকে গরিবদের আশাও পূরণ করতে হবে। সবমিলিয়ে প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ নির্মলা সীতারমনের উপরে। গতবার ভোটকে নজরে রেখে বাজেট পেশ করেছিলেন পীযূষ গোয়েল। কিন্তু এবার অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে হবে। সে কারণে জনমোহিনী হওয়ার সুযোগ নেই। পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কী কী ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী? 


  সম্ভাব্য ঘোষণা? 
 ১। বছরে আড়াই লাখের বদলে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে, করের হার হবে শূন্য শতাংশ।
 ২। আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় দেড় লাখের বদলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পরিশোধে মিলবে করছাড়।
  ৩। মিউচুয়াল ফান্ডে করমুক্ত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়তে পারে।
  ৪। কর্মসংস্থান বাড়াতে মেট্রো রেল, ভারতমালা, সাগরমালার মতো সড়ক ও বন্দর নির্মাণ সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
 ৫। জল সংরক্ষণে ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন তিনি।



৬। কৃষক সহায়তা প্রকল্পে সরকারের বাড়তি খরচ বছরে ৮৭ হাজার কোটি টাকা। তার ওপর করছাড়, সরকারি খরচ বাড়লে রাজস্ব ঘাটতি আরও লাগামছাড়া হতে পারে।
 ৭। পরিকাঠামো উন্নয়নে বাজার থেকে টাকা জোগাড়ে ১০ বছর মেয়াদী করমুক্ত বন্ড আনার কথা বাজেটে বলা হতে পারে।
 ৮। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা, ৯০ হাজার কোটি থেকে বেড়ে হতে পারে এক লক্ষ্য কোটি টাকা।
 ৯। সম্পত্তি, টাকা, গয়নার ক্ষেত্রে ৩৫ বছর পর ফিরে আসতে পারে উত্তরাধিকার কর।
 ১০। ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া সহজ হলে বাড়বে লগ্নি, কাজের সুযোগ। এই যুক্তিতে, অনাদায়ী ঋণের বোঝায় জেরবার ব্যাঙ্কগুলিকে বাড়তি পুঁজি জোগানোর কথাও বলা হতে পারে বাজেটে।


পি/ব