অনেকের মাথায়ে এই প্রশ্নও যে ধোনির হলটা আসলে কী,কেউ-কেউ বলে যে ধোনির কি এই বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছে ছিল না? তিনি কী টুর্নামেন্টের আগেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন? তবে কী মাহিকে জোর করে ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড? রবিবার এজবাস্টনে ব্যাটে এবং উইকেটের পিছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর এমনই প্রশ্ন তাঁর ফ্যানদের মনে ঘুরতে শুরু করেছে। যে ধোনির স্থান ছিল হৃদয়ের মণিকোঠায়, তাঁকে মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড করতেও ছাড়েননি ভক্তরা। ভারত ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও নাসের হুসেনের গলাতেও এমএসের সমালোচনা শোনা গেছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৫০ ওভারে টেনেটুনে ২২৪ রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ওই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৫২ বলে ২৮ রানের টেস্ট সুলভ ইনিংস সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্রিকেট মহলে সমালোচিত হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে দুটি ছয় ও একটি চার না মারলে, সেদিনও সমালোচনা থেকে রেহাই পেতেন না মাহি। ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখন ম্যাচ জিততে ভারতের প্রয়োজন ১১২ রান। কিন্তু যখন মনে হয়েছিল যে এবার হয়তো ব্যাট চালাবেন ধোনি, ঠিক তখনই তাঁর ব্যাট যেন অদ্ভুত শান্ত হয়ে যায়। শেষ ৫ ওভারে ১৫-র গড়ে রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। কিন্তু ধোনি ও কেদারের ঠুকু ঠুকু করে খেলার জন্যে ৩১ রানে হেরে যায় ভারত।
-কে
No comments:
Post a Comment