বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক সুন্দর রাখার উপায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 1 July 2019

বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক সুন্দর রাখার উপায়

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্বে অনেক ক্ষেত্রেই বউ-শাশুড়ির সম্পর্ককে দায়ী করা হয়। সেই সম্পর্ককে কিভাবে ঠিক রেখে চলবেন তারই কিছু উপায় দেওয়া হল আপনাকে৷ এগুলি মেনে চললে কিছুক্ষেত্রে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে।  
শাশুড়ির মনোভাবঃ বিয়ের আগে পর্যন্ত ছেলের ওপর মায়ের কর্তৃত্ব থাকে। কিন্তু ছেলের বিয়ের পর মা মনে করেন, তাঁর আদরের সন্তানটি বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল। অনেক মা মনে করেন, ছেলে বিয়ে করায় সংসারে তাঁর নিজের মূল্য কমে গেছে। মায়েদের এ মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।  
বউয়ের ব্যক্তিস্বাধীনতাঃ বউ কী করে, কোথায় যায়, কোথায় বেশি পয়সা খরচ করে, তার বন্ধুরা কেমন ইত্যাদি বিষয়ে শাশুড়ির জানার আগ্রহ প্রচণ্ড, যা কিনা বউয়ের মনে বিরক্তির উদ্রেক করে। এ যুগের অনেক বউই চান, স্বাধীনভাবে চলতে, কিন্তু শাশুড়ির ব্যবহারের কারণে তা অনেক সময় সম্ভব হয় না৷ বউ বাড়িতে না থাকলে অনেক শাশুড়ি তো ছেলের বউয়ের অনুপস্থিতিতে তাঁর জিনিসপত্রও ঘাঁটাঘাটি করেন! এমন আচরণে পারস্পরিক শ্রদ্ধা কখনো বাড়ে না।  
ছাড় দিনঃ দুপক্ষই পরষ্পরকে ছাড় দিন। ছোটোখাটো বিষয় একেবারেই মনে রাখবেন না। যেখানে কথা বললে ঝগড়া বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে চুপই থাকুন। এড়িয়ে চলুন সেই সময়টা।  
কাজ ভাগ করে নিনঃ একজন আরেকজনের কাজে নাক না গলিয়ে কাজ ভাগ করে নিন। এতে শান্তি বজায় থাকবে সংসারে এবং সম্পর্কে।  
কখন কথা বলা উচিত এবং উচিত নয় তা বুঝুনঃ সম্পর্ক তখনই ভালো থাকে যখন নিজের সীমা কতোটুকু তা বুঝে মুখ বন্ধ করে ফেলা যায়। কারণ আপনার হুট করে বলে ফেলা একটি কথাতেই সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।  
কটু কথা না বলাঃ স্বামী-স্ত্রীর নিজস্ব কিছু ব্যাপার থাকে যেখানে শাশুড়ির না যাওয়াই ভালো এবং স্ত্রীর উচিত স্বামীর কাছে শাশুড়ির নামে কটু কথা না বলা। এতে সংসারে সুখ থাকবে দুদিক দিয়েই।  
শ্রদ্ধাবোধঃ শাশুড়িকে শ্রদ্ধা করুন এবং তা তাঁকে বুঝতে দিন। বিয়ের পর স্বামীকে সব স্ত্রী-ই পুরোপুরি নিজের মতো করে পেতে চান। আর সেই জায়গায় ভাগাভাগির বিষয়টি কোনোভাবে মাথায় এলেই বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। এ যুগের আধুনিক এবং শিক্ষিত মেয়েরা অবশ্যই তা বুঝবে৷ যে কোনো সম্পর্কে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বড় বিষয়।  
চাকরিজীবী নারীঃ আজকের যুগের নারীদের অনেকেই চাকরিজীবী, তাই সবকিছু সামলে নিয়ে আগের দিনের মতো শাশুড়ির সেবা করা তাঁদের জন্য বেশ কঠিন। সেটা শাশুড়িকে বুঝতে হবে। আবার বউকেও বুঝতে হবে, শাশুড়ির দিকে মাঝে মাঝে কিছুটা মনোযোগ দেওয়া উচিত, বিশেষ করে ছুটির দিনে৷ তাছাড়া সময় পেলে শাশুড়ির সাথে গল্প করুন, শপিংয়ে যান কিংবা কোনো উপলক্ষে তাঁকে উপহার দিন। এতে সম্পর্ক সুন্দর হবে।  
নাতি-নাতনিঃ নাতি নাতনিকে শাশুড়ির কাছে নিয়মিত যেতে দিন। শাশুড়ি যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, দেখবেন ধীরে ধীরে তিনি বউকে পছন্দ করতে শুরু করেছেন।  
অতিরিক্ত অভিযোগ করবেন নাঃ অতিরিক্ত অভিযোগ মনকে বিষিয়ে তোলে অল্পতেই। তাই অভিযোগ না করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন দুপক্ষই।   

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad