হিন্দু মহিলারা বিয়ের পর কেন শাঁখা সিঁদুর পড়ে? - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 1 July 2019

হিন্দু মহিলারা বিয়ের পর কেন শাঁখা সিঁদুর পড়ে?

আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন কারণে প্রথানুযায়ী হিন্দু মহিলারা বিয়ের পর শাঁখা ও সিঁদুরের ব্যবহার করে থাকে। যেমন আধ্যাত্মিক কারণ অনুযায়ী  শাঁখার সাদা রং- সত্য, সিঁদুরের লাল রং – রজঃ এবং লোহার কাল রং- তম গুণের প্রতীক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুণের অধীন হয়ে সংসার ধর্ম পালন করে। সামাজিক কারণ অনুসারে তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টিতেই জানিয়ে দেয় ঐ রমণী একজন পুরুষের অভিভাবকত্বে আছেন। সে কারণেই অন্য পুরুষের লোভাতুর লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত হয়। স্বামীর মঙ্গল চিহ্ন তো অবশ্যই।  

বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে এই পরিহিতার মূলে। কারণস্বরূপ রক্তের ৩টি উপাদানের মধ্যে শাঁখায় ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ এবং লোহায় আয়রণ আছে। রক্তের ৩টি উপাদান মায়েদের মাসিক রজঃস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। আর্য ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন। লক্ষ্য করবেন সিঁদুর দেওয়ার সময় মায়েরা নিচের দিকে নয়, ঊর্ধ্বায়ণ করে। কেন? সিঁদুর ঊর্ধ্বায়ণের মাধ্যমে রমণীগণ নিয়ত তার স্বামীর আয়ু বৃদ্ধির প্রার্থনা করে। যে স্বামী আজীবন আপনার পাশে ছায়ার মত থাকার শপথ নিয়েছে তার মঙ্গলের জন্য এতটূকু কষ্ট করতে পারবেন না?

সৌন্দর্যের বিচারে শ্বেত-শুভ্র শাঁখা আর লাল টকটকে সিঁদুরের মত এত অর্থপূর্ণ কসমেটিক্স বর্তমান বাজারে ২য় টি কি আছে? আমার এই কথার পর হয়তো নয় নিশ্চয় ভাবছেন, তাহলে ছেলেদের এমন কিছু নেই কেন? তাইতো? স্বভাবতই মেয়েরা সাজগোজ বেশী পছন্দ করে। তাই মেয়েদের এই দিক টা মাথায় রেখেই শাঁখা সিঁদুরের মত এত পবিত্র উপকরনের কথা চিন্তা করা হয়েছে। সেদিক থেকে ছেলেরা অনেক দুর্ভাগ্যবান যে তাদের এমন কিছু নেই যা বিয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ স্ত্রীরা তাদের দেবেন এবং সবসময় সাথে রাখবেন। তবে হ্যা, বস্তুত কিছু না থাকলেও অদৃশ্য কিছু ১টা অবশ্যই আছে । সেটা আপনার ভালবাসার বন্ধন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad