নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ধ্যান! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 1 July 2019

নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ধ্যান!

এক বিষয়ে মনকে একাগ্র করতে পারলে যে-কোন বিষয়ে মনকে একাগ্র করতে পারা যায়। ধ্যান হল মনের ব্যায়াম। কোন বিষয়ে মনের কেন্দ্রীয়করণের নামই ধ্যান। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট ভাবে অনুশীলন করলে ধ্যানের মাধ্যমে মনোযোগ বাড়ে, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনের স্বেচ্ছা-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি সৃষ্টি হয়। প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি অন্তর জাগরণ ঘটে। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে, সুস্থ থাকতে, উন্নতি করতে, জীবন উপভোগ করতে, সুখী হতে ধ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম।

ধ্যান এমন একটি ব্যায়াম যার প্রতি পদে পদে শুধু উপকার আর উপকারই আছে। ধ্যান নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখায়। নিজের ভিতরটা বদলালে পৃথিবী বদলে যাবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা পৃথিবীর সুখ-শান্তি অর্জন করা যায়। সুখ-শান্তি অন্য কোথাও না নিজের ভিতরেই বাস করে। আমাদের দেশের শহরাঞ্চলের খুব সচেতন কিছু নারী ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। মেডিটেশন বা ধ্যান মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী।

আমাদের মস্তিস্ক সব সময় কাজ করতে থাকে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো কাজ করে। মস্তিষ্ক সারা শরীরের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। অর্থাৎ বিরামহীন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। আমাদের ঘুমানোর সময়, চোখ বন্ধ করে রাখার সময় বা ধ্যান করার সময় মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয়। এই বিশ্রামের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তখন সারা শরীরের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা হয়ে ওঠে আরও বেশি শক্তিশালী। ধ্যান বা মেডিটেশনের সময় মানুষ চোখ বন্ধ করে রাখে। ফলে চোখ, কপাল, ঘাড়, মাথা, চোখের চারপাশের স্নায়ু ও মাংসপেশির বিশ্রাম হয়। ধ্যানের সময় মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষেরও বিশ্রাম হয়। তখন মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথাও কমে।

মস্তিষ্কের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শিরা–উপশিরার মাধ্যমে সারা শরীরে সঞ্চালিত হয়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও পুষ্টি হয়। অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত দেহের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। পরিণামে কমে যায় স্ট্রেস হরমোন বা ডায়াবেটোজেনিক হরমোন। পরিণত বয়সের সব নারী–পুরুষের জন্য মেডিটেশন খুব জরুরি। আমাদের উচিত কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের ধ্যান করা, আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী পরিচিতদের এতে উৎসাহিত করা।

মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে এতে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পুরো শরীরে সঞ্চালিত হয়। চোখের স্নায়ুগুলোর বিশ্রাম হয়। চোখ বন্ধ করে ধ্যান করার সময় চোখের মাংসপেশিরও বিশ্রাম হয়। নিয়মিত মেডিটেশন করলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। ধ্যান মানুষকে তার মন ও চিন্তা–চেতনা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, বাড়িয়ে তোলে আত্মবিশ্বাস।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad