কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় রায় সোমবার ঘোষণা করল পাঠানকোট আদালত। জম্মু-কাশ্মীরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ঘটনায় ধৃত ৭ অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ পাঠানকোটের বিশেষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা জরে। এর মধ্যে দুই পুলিস অফিসার দীপক খাজুরিয়া, সুরেন্দর ভার্মা এবং হেড কনস্টেবল তিলক রাজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
পাশাপাশি মন্দিরের পুরোহিত তথা মূল অভিযুক্ত সঞ্জি রাম, পুলিস অফিসার পরবেশ কুমার ও আনন্দ দত্তকেও দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। উল্লেখ্য, ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের অপহরণ, ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন সাক্ষ্য প্রমাণের কাজ শেষ হয়। আর তা শেষ হওয়ার ১৭ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণা করল আদালত।
সোমবার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার কথা জানান বিচারক তেজবিন্দর সিং। গত বছরের ১০ জানুয়ারি অপহরণ করা হয় আসিফা নামে ওই নাবালিকাকে। লালসা মেটাতে দিনের পর দিন চলে গণধর্ষণ। সেই দলে ছিল পুলিশ অফিসারেরাও। এমনকি, জানা গিয়েছে, মাথায় পাথর মেরে খুন করার আগের মুহূর্তে হত্যাকারীকে অপেক্ষা করতে বলে এক পুলিশ অফিসার। কারণ, আরও একবার ধর্ষণ করে নিতে চেয়েছিল সে।
১৭ জানুয়ারি ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গলের ভিতর থেকে। স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। ফরেন্সিক রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ধর্ষণের আর খুনের আগে প্রচুর পরিমাণে মাদক দেওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে। সেই সময় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেরে ফেলার আগেই হয়ত কোমায় চলে গিয়েছিল আট বছরের ওই নাবালিকা।
No comments:
Post a Comment