ফুল ফুটেছে ইটভাটায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 15 June 2019

ফুল ফুটেছে ইটভাটায়





ধাউ ধাউ করে জ্বলছে না আগুন। নেই কাঠ পোড়া গন্ধ। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েও আসে না। অক্সিজেনেরও কমতি নেই; এখন আশপাশে বিশুদ্ধ বাতাস। সজীব-সতেজ জীববৈচিত্র্য। ফুটেছে হাজার হাজার ফুল। ছড়িয়েছে সৌরভ।     লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার চৌধুরী বাড়ির সংলগ্ন ইটভাটাটি বন্ধ হওয়ায় এমন উপহারের সমারহ।  গত পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে ইটভাটায় আগুন জ্বলে না; উৎপাদন বন্ধ। ওই ভাটার জমিতে এখন নার্সারি। তাতে আছে নানা প্রজাতির বৃক্ষের চারা। বিভিন্ন ফুল-ফল গাছ।


ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি-প্রজাপতি; রাতে হয় জোনাকির খেলা।  দুই যুগেরও আগে রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে ওই ভাটা। তবে বিভিন্ন সময় হাত বদল হয়েছে এটি। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি ও পর্যাপ্ত মাটির অভাবে ইট পোড়া বন্ধ রয়েছে। এখন এখানে পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে নার্সারি। ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ভাটার জমি ভাড়া নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলেছেন। করছেন গাছের চারা উৎপাদন।  সে সময় রাস্তার পাশে ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের পক্ষে ছিলেন না এলাকাবাসী। এখন ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার লোকজন খুশি। নার্সারি গড়ে উঠায় তাদের যেন স্বস্তি। 



স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় একজন কলেজশিক্ষক ইটভাটা গড়ে তোলেন। গণবসতিপূর্ণ এলাকায় কাঠ পুড়িয়ে ইট উৎপাদন করায় পরিবেশ ও প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিনি ইট পোড়া বন্ধ রেখেছেন বলে ধারণা ওই শিক্ষার্থীর।  তবে এ ব্যাপারে জানতে ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 



সরেজমিনে ওই ভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে ইট সংগ্রহ করে ভাটার আশপাশে রেখে ব্যবসা করা হচ্ছে। আগে যে স্থানে ইট তৈরির মাটি প্রস্তুত করা হতো, সেখানে নার্সারি গড়ে উঠেছে। তাতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ফুল গাছের সংখ্যা বেশি। গাছে গাছে এখন ফুল আর ফুল।  প্রসঙ্গত, রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের কমলনগরের চর লরেন্স এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকা পর্যন্ত রাস্তার পাশের ফসলি জমিতে জনবসতিপূর্ণ স্থানে অন্তত ১০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা গড়ে উঠা ও কাঠ পুড়িয়ে ইট উৎপাদন করায় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad