পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানিয়েছেন। কংগ্রেসের অসিত মিত্র মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাজ্য সরকার পরিচালিত মোট কত বাস চলছে। মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পরিচালিত মোট বাসের সংখ্যা এখন ৩ হাজার ৫৯২টি। আমরা আরও নতুন বাস নামাব। বিভিন্ন রুটে ২০১১ থেকে ২০১৯–এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫৬৫টি বেসরকারি বাসকে পারমিট দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বাস চলছে ৮ হাজার ২৯৯টি। সরকারি বাসে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগও করা হয়েছে। ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করবেন তাঁরা।
তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবহণে একটা পেশাদারিত্ব আনার চেষ্টা করে চলেছি। আগে বাসে জামাকাপড় ছিঁড়ে যেত। বৃষ্টির জল পড়ত। এখন সে সব হয় না। গড়ে প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস, ট্রাম এবং ফেরি পরিষেবা নেন।’ তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কতগুলো ইলেট্রিক বাস চলছে। পরিবহণমন্ত্রী জানান, এখন ২০টা বাস চলছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৭টা বাস নামবে।
৫৫টা চার্জিং স্টেশন করা হয়েছে। বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরি পরিবহণমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরে গ্রামাঞ্চলে বাস যদি আরও বাড়ানো যায় তাহলে মানুষ উপকৃত হবেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বাসের তেল পোড়ানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আর্থিকভাবে লাভজনক হচ্ছে কিনা তা–ও দেখতে হবে।’ কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের বিষয়টি খারিজ করার জন্য অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জিকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাষণের অপব্যাখ্যা করেছে কিছু সংবাদপত্র, জানান পরিষদীয় দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাপস রায়। শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি স্বাধিকার ভঙ্গের প্রসঙ্গ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি খারিজ করে দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের অধিকারে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। তাঁদের স্বাধীনতা আছে। এই চ্যাপ্টার ক্লোজড্। সবাইকে নিয়েই আমরা কাজ করব।’ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
কে
No comments:
Post a Comment