স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 10 June 2019

স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী!




স্ত্রীকে প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলেন স্বামী কিন্তু স্ত্রী ডুবেছিলেন পুরনো প্রেমিকের প্রেমে বিয়ের চার বছর পরে সেই প্রেমিকের টানে ঘর ছাড়তেই সব কিছু স্পষ্ট হয় স্বামীর কাছে তাতে অবশ্য রাগে মারমুখী হয়ে ওঠেননি বরং মর্যাদা দিতে চেয়েছেন স্ত্রীর ভালোবাসাকে ভারতের নবদ্বীপের মাজদিয়া মাঠপাড়ায় ঘটনা ঘটেছে

বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে সই করে দিয়েছেন বছর আঠাশের সেই যুবক এবং সবাইকে চমকে দিয়ে নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে নিজের বিবাহিত স্ত্রীর রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। যাবতীয় জোগাড়যন্ত্র করেছেন নিজে। এমনকি বিয়ে রেজিস্ট্রির টাকাও দিয়েছেন এবং রেজিস্ট্রি শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত থেকে সবকিছু পরিচালনা করেছেন

সব সেরে শূন্য ঘরে ফিরে একাকী নাড়াচাড়া করেছেন পুরনো সব ছবি নিয়ে। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায় কেঁদে ফেলেছেন শিশুর মতো। কাঁদতে কাঁদতেই বলেছেন, ‘ভালোবাসা মানে তো কাউকে জোর করে ধরে রাখা নয়, বরং সে যাতে ভালো থাকে সেটা করতে দেওয়া। জবরদস্তি ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই ওকে আটকায়নি। যাকে ভালবাসে তার কাছে ভাল থাকুক।

স্বামী সজল দাস, তার স্ত্রী মিঠু দাস মিঠুর প্রেমিক মণ্ডপকর্মী ননী সরকারের এই কাহিনি শুনে অনেকেরই মনে পড়ে গেছে বেশ কয়েক বছর আগে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবিহাম দিল দে চুকে সনমএর কথা। তবে সেখানে স্বামীর ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করে শেষ মুহূর্তে প্রেমিকের থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন স্ত্রী। ক্ষেত্রে তা হয়নি। রেজিস্ট্রি বিয়ের পর প্রেমিক ননীর হাত ধরেই মিঠু সংসার করতে গেছেন

স্বামী সজল বলেছেন, ‘আমাকে কোনো দিন ভালোবাসেনি। চার বছর ধরে শুধু অভিনয় করেছে। এবার অত্যন্ত সত্যিকারের ভালোবেসে সংসার করুক। ডিভোর্সের জন্য তো সদ্য আবেদন দায়ের করা হয়েছে।এই অবস্থায় রেজিস্ট্রি কি গ্রাহ্য হবে? সজলের উত্তর, ‘বিয়ে তো মনের ব্যাপার। 

আমি যখন মিউচুয়াল ডিভোর্স দেবই তখন আর কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমার সম্মতি নিয়েই রেজিস্ট্রি হয়েছে।বছর চারেক আগে দেখাশোনা করেই সজলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রুইপুকুর পঞ্চায়েতের শ্যামপুকুরের বাসিন্দা মিঠু দাসের। বিয়ের পর স্ত্রী- আবদারেই মুম্বাইয়ের হোটেল ছেড়ে চলে এসে মায়াপুরের এক হোটেলে কাজ নেন।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad