এক তরুণী যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন আর সেখান থেকেই শুরু হল বিতর্ক! কারণ, তরুণীর স্মামী দাবি করেন, একটি শিশু অবিকল তাঁর মতো দেখতে হলেও অন্যটি একেবারেই আলাদা! এ দিকে স্মামীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ সদ্য মা হওয়া ওই তরুণীও।
এর পরই শিশু দু’টির ডিএনএ টেস্টের দাবি তোলেন ওই যুবক। আর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট সামনে আসতেই চোখ কপালে ওঠে সেখানে উপস্থিত (স্বামী ছাড়া) সকলের। ডিএনএ টেস্টের ফলাফল দেখে চিকিত্সকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু’টি শিশু একই মায়ের গর্ভ থেকে একই সময়ে জন্মালেও, তাদের বাবা এক নন!
সম্প্রতি অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের শিয়ামেন শহরে। ডিএনএ টেস্টের ফলাফল সামনে আসার পর ওই তরুণী স্বীকার করে নেন যে, দু’টি সন্তানের মধ্যে একটি বাবা তাঁর স্বামী হলেও, অন্যটির বাবা তাঁর এক বিশেষ বন্ধু। শিয়ামেন শহরের একটি ফরেন্সিক সেন্টারের প্রধান মিস ঝ্যাং-এর মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল!
চিনা ফরেন্সিক সেন্টারের প্রধান মিস ঝ্যাং এই ঘটনাকে ‘বিরল’ বলে ব্যাখ্যা করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলাদা আলাদা শুক্রাণু থেকে যমজ সন্তানের জন্ম কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ চিকিত্স সুজয় দাসগুপ্তজানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘হেটেরোপ্যারেন্টাল সুপার ফেকানডেশন’ বলা হয়। তাঁর মতে, একই জনন-চক্রে সাধারণত একটি ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।
তবে কখনও কখনও একই জনন-চক্রে দু’টি ডিম্বাণুর উৎপাদন হলে এবং সে দু’টির সঙ্গে পৃথক পৃথক শুক্রাণু নিষিক্ত হলে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। একই ভাবে একই জনন-চক্রে সৃষ্টি হওয়া দু’টি ডিম্বাণুর সঙ্গে পৃথক দুই ব্যক্তির আলাদা আলাদা শুক্রাণু নিষিক্ত করলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
No comments:
Post a Comment